লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে অন্তত ৪০ অভিবাসী নিহতের আশঙ্কা

লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে অন্তত ৪০ জন অভিবাসী নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে নৌকাডুবির কারণে পানিতে ডুবে অভিবাসীদের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। লিবিয়ার কোস্টগার্ড ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাকে উদ্ধৃত করে এখবর জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।

ফাইল ছবি

লিবিয়া কোস্টগার্ডের এক মুখপাত্র আইয়ুব গাসিম জানান, একশিশুসহ অন্তত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ত্রিপোলি থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর খোমস থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মুখপাত্র জানান, অন্তত ৬৫ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই সুদানের নাগরিক। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার এক মুখপাত্র চার্লি ইয়াক্সলে জানান, ধারণা করা হচ্ছে অন্তত ৪০ জন নিখোঁজ বা মারা গেছেন।

অ্যালার্ম ফোন নামের একটি সহায়তাকারী সংস্থা জানিয়েছে, নৌকাতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে যাওয়া প্রায় ১০০ জন অভিবাসী ছিলেন। তাদের ডুবে যাওয়ার নৌকার এক অভিবাসী ফোনে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ। লোকজন কাঁদছে ও চিৎকার করছে। অনেক মানুষ মারা গেছে।

লিবিয়ার কোস্টগার্ড জানিয়েছে, আগস্টে এ পর্যন্ত কয়েকশ অভিবাসীকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

আফ্রিকার অভিবাসী ও শরণার্থীদের ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে লিবিয়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়েছে। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাতের পর চলমান বিশৃঙ্খলার সুযোগে মানবপাচারকারীরা লিবিয়া থেকে ইউরোপে নৌকা ও জাহাজে অভিবাসীদের পাচার করছে।