মোজাম্বিক উপকূলে শতাধিক ডলফিনের মৃত্যু

মোজাম্বিকের একটি দ্বীপের উপকূলে শতাধিক ডলফিনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এছাড়া রাজধানী মাপুতুর উত্তরে বাজারুতু দ্বীপে পাওয়া গেছে আরও প্রায় ৮৬টি মরদেহ। তবে এখন পর্যন্ত এসব ডলফিনের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয়। কারণ খতিয়ে করতে ঘটনাস্থলে আরও বিশেষজ্ঞ পাঠানো হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত রবিবার প্রথমবারের মতো মোজাম্বিকের উপকূলে মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। পরে মঙ্গলবার বাজারুতু দ্বীপে আরও মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। এসব ডলফিনের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট না হলেও অনেক বিশেষজ্ঞই এর সঙ্গে সাইক্লোনের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে মনে করছেন।

গত সপ্তাহে সাইক্লোন গুয়াম্বের কারণে অশান্ত হয়ে পড়ে বাজারুতু দ্বীপের উপকূল। সেখানকার ন্যাশনাল পার্কের প্রধান টমাস মানাসে জানান, ডলফিনরা সাধারণত কোনও একজনের নেতৃত্ব মেনে চলে। বিপদে পড়লে নেতা ডলফিনকে অনুসরণ করে বাকিরা উপকূলে চলে আসতে পারে বলে জানান তিনি।

টমাস মানাসে জানান ময়নাতদন্তে এসব ডলফিনের ত্বক, জিহ্বা কিংবা অন্য কোথাও বিষক্রিয়া বা অন্য কোনও সমস্যা পাওয়া যায়নি। তবে আরও বেশি পরীক্ষার জন্য নমুনা মাপুতুর পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

গত বছর ভারত মহাসাগরের দ্বীপ মরিশাস উপকূলে ৫২টি ডলফিনের মরদেহ পাওয়া যায়। ওই ঘটনার জন্য ডাঙ্গায় উঠে যাওয়া একটি তেলের ট্যাংকারকে দায়ী করা হয়।