গিনির বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৮

মধ্য আফ্রিকার দেশ ইকোয়াটোরিয়াল গিনির একটি সেনানিবাসে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে। রবিবারের ওই বিস্ফোরণে আরও ৬১৫ জন আহত হয়েছে। উপকূলীয় শহর বাতার একটি সামরিক ঘাঁটিতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

১৯৭৯ সাল থেকে গিনির ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট তিওডোরো ওবিয়াং নুগুয়েমা মোবাসোগো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ডিনামাইট নড়চড়ায় অবহেলার কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের কারণে শহরটির প্রায় সব ভবনই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে সোমবার গিনির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ক্ষয়ক্ষতি কেবল শরীরের নয় মানসিকতারও হয়েছে। বিস্ফোরণে আক্রান্তদের সহায়তায় মনোবিদদের সমন্বয়ে একটি মেন্টাল ব্রিগেড গঠন করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা ছবিতে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ করে মরদেহ রাখা হয়েছে। এছাড়া ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে হতাহতদের বের করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গিনির সবচেয়ে বড় শহর বাতা। দেশটির প্রায় ১৪ লাখ জনসংখ্যার আট লাখই এই শহরে বসবাস করে। তারপরও এটি দেশটির রাজধানী শহর নয়। পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় শহর মালাবো দেশটির রাজধানী।

৭৮ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট তিওডোরো ওবিয়াং নুগুয়েমা মোবাসোগো প্রায় ৪২ বছর ধরে গিনি শাসন করছেন। বিরোধী দলগুলো এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো প্রায়ই তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে থাকে।