বুরকিনা ফাসোয় রাতভর তাণ্ডব, নিহত অন্তত ১৩০

বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামে হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র ব্যক্তিরা। রাতভর চালানো হামলায় ১৩২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সোলহান গ্রামে চালানো হামলায় বাড়ি এবং স্থানীয় বাজার পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দেশটির সরকার এই হামলাকে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে দাবি করেছে। কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে দেশটিতে ইসলামপন্থীদের হামলা ক্রমেই সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠছে, বিশেষ করে সীমান্ত এলাকাগুলোতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আফ্রিকার অনেক প্রতিবেশি দেশের মতো বুরকিনা ফাসোতেও নিরাপত্তা সংকট গভীর হচ্ছে। এই অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীরা অভিযান আর অপহরণ চালিয়ে যায়। সন্ত্রাসী হামলার উত্থান ঠেকাতে গত মে মাসে বড় ধরনের অভিযান শুরু করে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী। গত দুই বছরে সন্ত্রাসী হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে দশ লাখ মানুষ। এই সহিংসতা মোকাবিলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।

শনিবার চালানো হামলায় ১৩২ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট রোচ কাবোরে। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, পশু শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। নিরাপত্তা বাহিনী হামলাকারীদের খুঁজছে বলে জানান তিনি।

হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও। সহিংস উগ্রবাদ দমনে সদস্য দেশগুলোর সহায়তা চারগুণ বাড়ানোর প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

এদিকে শুক্রবার রাতে তাদারাত গ্রামে চালানো পৃথক এক হামলায় ১৪ জন নিহত হয়। এছাড়া বুরকিনা ফাসোর পূর্বাঞ্চলে গত মাসে চালানো এক হামলায় নিহত হয় ৩০ জন।

২০১২ ও ২০১৩ সালে উত্তর মালির বিস্তৃত এলাকা সশস্ত্র গোষ্ঠী দখল করে নেওয়ার পর থেকেই আফ্রিকার মরু অঞ্চলে সাহেল এলাকায় বিদ্রোহী তৎপরতা জোরালো রয়েছে। তা মোকাবিলায় ফরাসি সেনাবাহিনী মালি, চাদ, মৌরিতানিয়া, নাইজার এবং বুরকিনা ফাসোকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে এই সপ্তাহে সেনা অভ্যুত্থানের জেরে মালির সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক স্থগিত করেছে ফ্রান্স।