ভারতকে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করতে দেওয়া হয়নি: মরিশাস

ভারতকে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করতে দেওয়ার খবর অস্বীকার করেছে মরিশাস। দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে এ ধরনের কোনও চুক্তির অস্তিত্ব নেই। এছাড়া দিল্লিকে এ ধরনের ঘাঁটি নির্মাণ করতে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনাও নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরা টিভির এক খবরে দাবি করা হয়, মরিশাসের দুর্গম আগালেগা দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করছে ভারত। মরিশাসের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই দ্বীপ। সেখানে প্রায় তিনশ’ মানুষের বসবাস রয়েছে।

বুধবার মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ জুগনাউথের যোগাযোগ উপদেষ্টা কেন আরিয়ান বলেন, ‘আগালেগায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপন নিয়ে মরিশাস এবং ভারতের মধ্যে কোনও চুক্তি নেই।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মরিশাস সফরের সময় সম্মত হওয়া দুটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এর একটি হলো তিন কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বিমানের রানওয়ে আর একটি জেটি। তবে সেগুলো সামরিক কাজে ব্যবহার হবে না বলে জানান তিনি।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে ১৯৬৫ সালে যুক্তরাজ্যের নেওয়া একটি সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। ওই সময়ে চাগোস দ্বীপকে মরিশাস থেকে বিচ্ছিন্ন করে নেয় যুক্তরাজ্য আর যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে সেখানকার ডিয়েগো গার্সিয়াতে একটি যৌথ সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে তারা।

কয়েক দশকের পুরনো ওই পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে চাগোস দ্বীপের বাসিন্দাদের। তাদের অভিযোগ, যুক্তরাজ্য অবৈধ দখলদারিত্ব চালাচ্ছে আর নিজেদের মাতৃভূমি থেকে তাদের বিতাড়িত করছে। তবে যুক্তরাজ্যের দাবি, দ্বীপটি লন্ডনের মালিকানাধীন। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি লিজ চুক্তি নবায়নের মাধ্যমে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত এটি ব্যবহার করতে পারবে তারা।

স্নায়ুযুদ্ধের সময় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ডিয়েগো গার্সিয়া। পরে এটি সামরিক ঘাঁটি হিসেবে আফগান যুদ্ধের সময়ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।