আফ্রিকায় অতি সংক্রামক মারবার্গ ভাইরাস

আফ্রিকা মহাদেশের গিনিতে মারবার্গ নামের অতিসংক্রামক এক ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। এটি ইবোলা রোগের জন্য দায়ী গোত্রের ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকানো প্রয়োজন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

মারবার্গ ভাইরাস রোগ বাঁদুড় থেকে মানুষের দেহে ছড়ায় এবং শারীরিক তরলের মাধ্যমে এক দেহ থেকে আরেক দেহে সংক্রমিত হয়। ২০১৫ সালে অ্যাঙ্গোলাতে সর্বশেষ বড় সংক্রমণের পর এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বিরল।

ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়, মাথাব্যথা, জ্বর, পেশিতে ব্যথা, রক্ত বমি ও রক্তক্ষরণের মতো উপসর্গে প্রাণঘাতী রোগ দেখা দেয়।

মারবার্গ ভাইরাসের কোনও চিকিৎসা নেই। তবে চিকিৎসকা বলছেন, প্রচুর পরিমাণে পানি পান এবং উপসর্গগুলোর চিকিৎসায় রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়ে।

গিনিতে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দেশটির একটি ল্যাবে তা পরীক্ষা করার পর পজিটিভ ফল আসে।

গত সপ্তাহে গুয়েসকেডৌ এলাকায় এই সংক্রমিত শনাক্ত হয়। এই এলাকাতেই কিছু দিন আগে ইবোলার সংক্রমণ ছিল। তবে এখন সেই সংক্রমণ নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকা প্রধান ড. মাতিশিদো মোয়েতি জানান, ভাইরাসটি ব্যাপক ও বিস্তৃত ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।  

মারবার্গ ভাইরাসে মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা মানুষদের চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ৪ স্বাস্থ্যকর্মীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১৪৬ জন মানুষ ঝুঁকিতে থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসক ড. ক্রুতিকা কুপ্পালি।