নাইজেরিয়ায় ভবন ধস: জীবিতদের উদ্ধারে চলছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা

নাইজেরিয়ার সবচেয়ে বড় শহর লাগোসে ধসে পড়া ২২তলা ভবনের ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়া জীবিতদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু এবং আরও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।

ভারি বৃষ্টিপাত সত্ত্বেও উদ্ধারকর্মী এবং স্থানীয়রা রাতে ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ধ্বংসস্তুপ এবং ভেঙে পড়া লোহা সরিয়ে চলছে জীবিতদের সন্ধান। এখন পর্যন্ত চার জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট হিসেবে নির্মিত ভবনটির একটি ব্লক সোমবার ধসে পড়ে। তবে এর কারণ এখনও জানা যায়নি। এছাড়া কত মানুষ এর নিচে চাপা পড়েছে তাও এখনও স্পষ্ট নয়। প্রিয়জনের বেঁচে থাকার খবর শুনতে অনেকেই উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে ভবন ধসে পড়ার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদু বুহারির বিশেষ উপদেষ্টা ফেমি আদেসিনা বলেছেন, স্বজন হারানো পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও জানান প্রেসিডেন্ট উদ্ধার তৎপরতা বাড়াতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নির্মাণকর্মী এরিকে টেটেহ (৪১) জানান ভবনটি যখন হঠাৎ করে ধসে পড়ে তখন তাদের দলটি ঘটনাস্থলে একটি এক্সক্যাভেটর আসার অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার ভাই সরে যেতে পারি কিন্তু আরও মানুষ সেখানে ছিলো- একশ’রও বেশি মানুষ।’

গত কয়েক বছরে লাগোসে আরও বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। ২০১৯ সালে একটি বাণিজ্যিক এলাকায় এক স্কুল ভবন ধসে পড়লে দশ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৪ সালে ছয় তলা একটি ভবন ধসে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়।