তাইগ্রেতে যুদ্ধাপরাধের আলামত থাকতে পারে: প্রতিবেদন

ইথিওপিয়ার তাইগ্রেতে সংঘাতে লিপ্ত দুটি পক্ষই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধও থাকতে পারে। থাকতে পারে যুদ্ধাপরাধের আলামত। নতুন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে যৌথভাবে ইথিওপিয়ার মানবাধিকার কমিশন ও জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, ধর্ষণ এবং শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত মানুষদের ওপর হামলার কথা নথিবদ্ধ করা হয়েছে।

২০২০ সালের ৪ নভেম্বর তাইগ্রেতে সংঘাতের সূত্রপাত। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি উত্তরাঞ্চলীয় তাইগ্রে অঞ্চলের আঞ্চলিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ দিলে এই সংঘাত শুরু হয়। শুরুতে সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের কোনঠাসা করেছিল। কিন্তু জুন মাসে তাইগ্রে যোদ্ধারা আঞ্চলিক আধিপত্য দখল করার ফলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। এখন বিদ্রোহীরা রাজধানী আদ্দিস আবাবার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

মঙ্গলবার ইথিওপিয়ার সরকার রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে রাজধানীর বাসিন্দাদের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেওয়ার আহ্বান জানায় সরকার।

এই যুদ্ধে মানবিক সংকটের জন্ম দিয়েছে। হাজারো মানুষ নিহত, লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং তাইগ্রের  কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে একটি ত্রাণ সংস্থা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার মিশেল বাখেলেট জানান, এই সংঘাতে চরম নৃশংসতা ঘটছে। তিনি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংঘাতে লিপ্ত সব পক্ষ হয় সরাসরি বেসামরিকদের এবং বাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল, ধর্মীয় স্থানের মতো বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে এবং অসম হামলা চালিয়েছে যাতে বেসামরিক হতাহত এবং ধ্বংস বা বেসামরিক বস্তুর ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সূত্র: বিবিসি