টানা পাঁচ দিন ধরে মরক্কোর ১০৪ ফুট গভীর কুয়ায় আটকে আছে শিশু রায়ান। বুলডোজার, ক্রেনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে জরুরি বিভাগের কর্মীরা দিনরাত আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। লক্ষ্য একটাই, পাঁচ বছর বয়সী শিশুটিকে যে করেই হোক জীবিত বের করে আনা। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইতোমধ্যে ওই কুয়ার পাশে আরেকটি বিশাল গর্ত খননের কাজ প্রায় শেষের দিকে। নতুন কুয়াটির পাশেরটার সমান হলেই রায়ানের কাছে পৌঁছানো সম্ভব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুরো উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব থাকা মরক্কোর বেসামরিক সুরক্ষা অধিদফতর মঙ্গলবার থেকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গভীরতার কারণে কুয়ায় রয়েছে বেশ অন্ধকার। ফলে আলো জ্বালিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
অভিযান পরিচালনা দলের আবদেসালাম মাকৌদি শুক্রবার বিকেলে তিনি বলেন, আমরা টানা তিন দিন ধরে অবিরাম পরিশ্রম করছি। শিশুটির কাছে প্রায় পৌঁছে যাচ্ছি। ঘুম নেই আমাদের, আমরা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
শিশু রায়ান যখন কুপের ভেতরে পরে যায়, তখন পাশেই কুপটি মেরামত করছিলেন তার বাবা। তিনি বলেন, সন্তানের এমন পরিস্থিতিতে ওর মা ভীষণ চিন্তিত এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
শিশুটি জীবিত আছে কিনা সে জন্য কুয়ার ভেতরে নামানো হয় অত্যাধুনিক ক্যামেরা। দেখা গেছে, রায়ান জীবিত। তবে মাথায় কিছুটা আঘাত পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা ভেতরে দড়ি দিয়ে অক্সিজেন মাস্ক, খাবার ও পানি পাঠিয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। এছাড়া হাসপাতালে নিতে একটি হেলিকপ্টারও রাখা হয়েছে।