মালির মূল সামরিক ঘাঁটিতে গুলির শব্দ, জঙ্গি হামলার শঙ্কা

মালির রাজধানী বামাকোর উপকণ্ঠে দেশটির মূল সামরিক ঘাঁটি থেকে গুলিবর্ষণের তীব্র শব্দ শোনা গেছে। শুক্রবার ভোরে শুরু হওয়ার এই শব্দের তীব্রতা ঘণ্টাখানেক পর কমে আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘাঁটির তিন বাসিন্দা জানিয়েছেন, ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

বামাকো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে কাটি এলাকায় অবস্থিত মালির মূল সামরিক ঘাঁটি। দেশটিতে ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতায় গত এক দশক ধরে অস্থিরতা চলছে।

২০১২ ও ২০২০ সালে কাটি সামরিক ঘাঁটিতে বিদ্রোহের জেরে সফল অভ্যুত্থান হয়েছে। তবে সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন শুক্রবার মনে হয়নি সেনা সদস্যরা নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করছে।

আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট সংশ্লিষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী বারবার মালির বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। তবে রাজধানীর এতো কাছে কখনও হামলা চালাতে সক্ষম হয়নি তারা।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে মালির সেনাবাহিনী জানায়, দিনের বেলায় বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাটিতে হামলা চালিয়েছে আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা। রাজধানী থেকে কয়েকশ’ কিলোমিটার দূরের এসব ঘাঁটিতে হামলায় এক সেনা নিহত এবং আরও ১৫ জন আহত হয়েছে।

কাটি ঘাঁটিতে গোলাগুলির কারণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মালির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেননি। এছাড়া প্রেসিডেন্টের কার্যালয় মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় সকাল ছয়টার দিকে গুলির শব্দের তীব্রতা কমে যাওয়ার পর ঘাঁটির উপরে হেলিকপ্টার উড়তে দেখা যায়। প্রবেশ পথ বন্ধ করে রাখা হলেও দুইটি অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে।

মালির ক্ষমতায় থাকা জান্তা সরকার ২০২০ সালের আগস্টে যে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসে তা শুরু হয় কাটি ঘাঁটিতে বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে। ২০২১ সালে দ্বিতীয়বার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা বেসামরিক একটি অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাত করে। এই সরকারের সঙ্গে প্রথম অভ্যুত্থানের নেতা কর্নেল আসিমি গোইতার সঙ্গে বিরোধ চলছিল।

দ্বিতীয় অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গোইতা অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। ২০২৪ সালের পরবর্তী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

সূত্র: রয়টার্স