কাপুরুষতা ও হত্যার দায়ে ৭ সেনার মৃত্যুদণ্ড  

কাপুরুষতা ও হত্যার দায়ে সাত সেনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর একটি আদালত। উত্তর কিভু প্রদেশের সাকে শহরে বিদ্রোহীদের ভয়ে পালিয়ে যাওয়া এবং অভিযুক্তদের বেপরোয়া আচরণে দুই জনের মৃত্যু ঘটায়, এ সাজা দেওয়া হয়েছে।  

সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আইনজীবীরা অবশ্য রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।  

গত নভেম্বরে আরও তিন সেনাকে একই অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

ডিআর কঙ্গোতে মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হয়।

খনিজসমৃদ্ধ উত্তর কিভু প্রদেশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াই চলছে। গত সপ্তাহে পোপ ফ্রান্সিস দেশটি সফর করে সংঘাতের অবসানের আহ্বান  জানিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও হাজার হাজার মানুষকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

রাজধানী কিনশাসায় প্রায় ১০ লাখ মানুষের উপস্থিতে পোপ ফ্রান্সিস বলেছিলেন, ‘আফ্রিকাকে নিঃশ্বাস নিতে দিন। এটি ছিনতাই করার খনি বা লুণ্ঠনের ভূখণ্ড না।’   

১৯৬০-এর দশকে স্বাধীনতার পর থেকেই সংঘাতে জর্জরিত ডিআর কঙ্গো। কেউ কেউ দেশটির খনিজ সম্পদ দখলের জন্য লড়াই করছেন, বাকিরা জাতিগত দ্বন্দ্বে ভীষণভাবে জড়িয়ে।

উত্তর কিভু এলাকায় এম-২৩ বিদ্রোহীদের দমনে ব্যর্থতার জন্য জাতিসংঘ এবং পূর্ব আফ্রিকান আঞ্চলিক বাহিনীর বিরুদ্ধে জনগণের প্রবল ক্ষোভ রয়েছে। তবে ডিআর কঙ্গো, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এ জন্য প্রতিবেশী রুয়ান্ডাকে অভিযুক্ত করেছেন।

সূত্র: বিবিসি