সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ কঠোর করার আইন পাস আলজেরিয়ায়

সাংবাদিকদের কাজের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করে আইন পাস হয়েছে আলজেরিয়ার পার্লামেন্টে। দেশটির সরকার বলছে, সংবাদকর্মীদের কার্যকলাপ অবাধে চালানোর জন্য আইনটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) বলছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করে এমন ‘নেতিবাচক অধ্যায়’ যুক্ত রয়েছে আইনে। 

আইনটি আলজেরিয়ান মিডিয়াকে যে কোনও ‘বিদেশি সত্তা’ থেকে অর্থায়ন বা বস্তুগত সহায়তা গ্রহণকে নিষিদ্ধ করে।

দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রী মোহাম্মদ বাউসলিমানি বলেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বহুত্ববাদকে প্রতিস্থাপন করার পাশাপাশি সব ধরনের বিচ্যুতি থেকে সংবাদপত্রকে রক্ষা করাই এ আইনের লক্ষ্য।’

নতুন আইনে ডি ফ্যাক্টো আলজেরিয়ার একটি মিডিয়া আউটলেটের মালিকানা বা অবদান রাখার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন দ্বৈত নাগরিকরা।

উত্তর আফ্রিকায় আরএসএফ-এর প্রতিনিধি খালেদ ড্রারেনি বলেন, ‘কিছু অধ্যায় ইতিবাচক। আবার বিচার বিভাগের কাছে সোর্স (উৎস) প্রকাশ করার মতো কিছু অধ্যায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতার লঙ্ঘনকে প্রতিনিধিত্ব করে।’

একটি সংবাদপত্র প্রকাশের জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল এমন পুরানো আইনের বিপরীতে নতুন আইনটি আরও সহজ। এ আইনে সাংবাদিকরা কেবল একটি বিবৃতি দিয়ে একটি মিডিয়া আউটলেট বের করতে পারবেন।

এই মাসের শুরুতে আলজেরিয়ার একটি আদালত বিশিষ্ট সাংবাদিক ইহসান এল কাদিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। ইহসান সরকারের একজন সোচ্চার সমালোচক যিনি ২৪ ডিসেম্বর গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে বিদেশি তহবিল নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) এর মতো মানবাধিকার সংস্থাগুলোও এল কাদির গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছিল।