সুদানে ক্ষমতার লড়াইয়ে অন্তত ৫০ জন নিহত

সুদানে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে অন্তত ৫০ জন বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৬০০ মানুষ। চিকিৎসকদের একটি সংগঠন জানিয়েছে, রাজধানী খার্তুমেই ১৭ বেসামরিক নাগরিকসহ ২৫ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালায় আরএসএফ। এর জেরে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের সংঘর্ষ বাধে। আসলে সুদানের গণতন্ত্রে ফেরার একটি পরিকল্পনা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। শনিবার সে উত্তেজনা সংঘাতে রূপ নেয়। 

সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ দুই পক্ষই দাবি করেছে, রাতভর লড়াইয়ের পর খার্তুমের বিমানবন্দর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

 

 

খার্তুম সংলগ্ন ওমদুরমান এবং নিকটবর্তী বাহরিতে রবিবার ভোরে ভারী কামানের শব্দ শোনা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা পোর্ট সুদানেও গোলাগুলির কথা জানিয়েছেন।

আরএসএফ-এর বিরুদ্ধে দেশটির বিমান বাহিনীও লড়াই করছে। সেনাবাহিনী বলছে, আরএসএফ ঘাঁটিতে ইতোমধ্যে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

সংঘর্ষে সুদানজুড়ে কমপক্ষে ৫৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চিকিৎসকদের একটি কমিটি। তারা আরও জানায়, কয়েক ডজন সেনা সদস্যও নিহত হয়েছেন। অনেককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৯৫ জন আহত হয়েছেন। 

এদিকে দেশের পশ্চিমে কাবকাবিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে আরএসএফ এবং সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের পর বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) তিন কর্মচারী নিহত হয়েছেন।

 

র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান

 

২০২১ সালের অক্টোবরে একটি অভ্যুত্থানের পর থেকে সুদান শাসন করছে সেনাবাহিনী। যুদ্ধটি মূলত জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অনুগত সেনা ইউনিট এবং সুদানের ডেপুটি লিডার মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে হেমেদতি নামে পরিচিত আরএসএফ-এর মধ্যে হচ্ছে।

আরএসএফ বলছে, সব সেনাঘাঁটি দখল না করা পর্যন্ত সেনারা লড়াই চালিয়ে যাবে। জবাবে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী জানায়, আরএসএফ বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনও আলোচনা হবে না। সূত্র: বিবিসি