বুরকিনা ফাসো ও মালি’র যৌথ বিবৃতি

নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপ যুদ্ধ ঘোষণার শামিল

আফ্রিকার বুরকিনা ফাসো ও মালি সতর্ক করে জানিয়েছে, প্রতিবেশী নাইজারে যেকোনও সামরিক হস্তক্ষেপ তাদের দুই দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানে পরোক্ষভাবে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে দেশ দুটি।

জান্তার হাতে বন্দি নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল করতে সামরিক বাহিনীকে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক সংগঠন ইকোওয়াসের নেতারা। দাবি না মানলে নাইজারের সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় যেকোনও ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি  দিয়েছে জোটটি।

নাইজারের পরিস্থিতি নিয়ে কী বলছে দেশ দুটি?

পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (৩১ জুলাই) যৌথ বিবৃতিতে দেশ দুটি সতর্ক করেছে, ‘নাইজারের বিরুদ্ধে যেকোনো সামরিক হস্তক্ষেপ, বুরকিনা ফাসো ও মালির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য হবে।’

নাইজারে সামিরক হস্তক্ষেপে বিপর্যয়ের দিকে যাবে। এতে পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীল করতে পারে। নাইজার সরকার ও জনগণের বিরুদ্ধে অবৈধ ও অমানবিক নিষেধাজ্ঞা না দিতে আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতেটি এমন সময় এলো যখন, নাইজারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার জোট।

আফ্রিকার আরেক দেশ গিনি আলাদা বিবৃতিতে ইকোওয়াসের পরিকল্পনাগুলোকে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে। বুরকিনা ফাসো, মালি ও গিনি– এই তিন দেশে সম্প্রতি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে।

অভ্যুত্থানের পর নাইজারে বিরোধী দল ও প্রেসিডেন্ট বাজুমের সমর্থকদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী। বাজুমের নাইজেরিয়ান পার্টি ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড সোশ্যালিজমের (পিএনডিএস) অন্তত ১৮০ সদস্য আটক হয়ছে।

পিএনডিএসের মুখপাত্র হামিদ এন’গেড দাবি করেন, জ্বালানিমন্ত্রী মহামানে সানি মাহামদু, খনিমন্ত্রী ওসেইনি হাদিজাতু ও দলের সভাপতি ফুমাকোয়ে গাদোকে বন্দি করা হয়েছে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম ও তার মন্ত্রীদের আটকের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোফেস বোরেল। তিনি বলেন, আমরা অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

গত ২৬ জুলাই অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নিজেকে নাইজারের নতুন শাসক ঘোষণা করেন জেনারেল আবদুরাহমানে তচিয়ানি। ওমর তচিয়ানি নামেও পরিচিত এই জেনারেলের নেতৃত্বে পশ্চিমা সমর্থিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে অবরুদ্ধ করে ফেলে তার নিরাপত্তা কর্মীরা।

সূত্র: আল জাজিরা, ডিডব্লিউ