সুদানে তীব্র লড়াইয়ে আরও ১৩ জন নিহত, ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

গত চার মাসের মধ্যে সেনা ও সশস্ত্র র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) বড় ধরনের লড়াইয়ে ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আধাসামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে বিমান ও কামান হামলা চালালে এ ঘটনা ঘটে।

সুদানের আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের সঙ্গে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে সেনাবাহিনীর লড়াই শুরু হয়। আরএসএফ রাজধানী খার্তুমের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ক্ষমতার ভাগাভাগি কেন্দ্র করে দুইপক্ষের ভারী সংঘর্ষ অব্যাহত আছে।

সুদানের ৫২ বছরের নাদের আব্দুল্লাহ বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই ভয়ংকর। চারদিকে শুধু বন্দুকযুদ্ধ, কামান ও বিমান হামলার শব্দ। সবদিকে বোমাবর্ষণ।’ 

লড়াইরত দুপক্ষই গত কয়েকদিনে নিজেদের অগ্রগতির দাবি করেছে। এ অবস্থায় লড়াই বন্ধ হওয়ার কোনও ইঙ্গিত নেই। যুদ্ধবন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব মধ্যস্থতার চেষ্টা করলেও কোনও অগ্রগতি নেই। বিবদমান পক্ষগুলো সাময়িক যুদ্ধবিরতিতেও রাজি হলেও পাল্টাপাল্টি হামলায় ভেস্তে যায় চুক্তি।

আফ্রিকার অন্যতম দরিদ্রকবলিত দেশটিতে দীর্ঘদিন সংঘর্ষ চলায় খাদ্য, জরুরি ওষুধ, সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। হাসপাতালগুলোতে ওষুধ সংকটে চিকিৎসা সেবা নিয়ে লড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। যুদ্ধ শুরুর পর ১৩ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত। অনেকে আশ্রয় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে।

একজন বাসিন্দা বলেন, ‘রাজধানী খার্তুমে দুই পক্ষের জয় করার মতো আর কী বাকি আছে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, বাজার সবই ধ্বংস হয়ে গেছে।’

সূত্র: আরব নিউজ