‘রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে বিচার হবে নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাজুমের’

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তা। তারা বলেছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশি রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে আঁতাত করেছিলেন বাজুম। এ কারণে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

গত মাসে অভ্যুত্থানের পর প্রেসিডেন্ট বাজুমকে বন্দি করে জান্তারা। তারা বাজুমের নির্বাচিত সরকার ভেঙে দিয়েছে। 

এ ঘটনায় নাইজারের প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশপাশি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব নেতারা। বাজুমকে ফের ক্ষমতায় বসাতে একটি সামরিক বাহিনী প্রস্তুত করেছে তারা। হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ক্ষমতা না ছাড়লে নাইজারে হস্তক্ষেপ করবে তারা।

ইসলামপন্থি বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম পশ্চিমা মিত্র নাইজার ইউরেনিয়াম উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। যদিও এই অঞ্চলে কৌশলগত স্বার্থের পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী বৈশ্বিক শক্তিগুলোর প্রভাবও ব্যাপক।

জান্তার মুখপাত্র কর্নেল আমাদু আবদ্রামানে রবিবার গভীর রাতে রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, বহিরাগত প্রেসিডেন্টের বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করেছে সামরিক কর্তৃপক্ষ। নাইজারের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করার জন্য বাজুমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হচ্ছে।

আব্রামানে আরও বলেন, ‘পশ্চিম আফ্রিকান অর্থনৈতিক ব্লক- ইকোওয়াসের নামে সামরিক হস্তক্ষেপকে ন্যায্যতা দিতে জান্তার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে।’

এদিকে বাজুমকে যে পরিস্থিতিতে রাখা হচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়ন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ।

বাজুমের রাজনৈতিক দল বলেছে, প্রেসিডেন্টের পরিবারের কাছে পানি, তাজা খাবার বা চিকিৎসক পৌঁছানোর কোনও সুযোগ রাখেনি জান্তা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বাজুম বলেছেন, তার ছেলের হৃদরোগের অবস্থা গুরুতর। এ কারণে দ্রুত তাকে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।

তবে জান্তা রবিবার জানায়, বাজুম নিয়মিত তার চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করছেন। শেষ দেখা হয়েছিল ১২ আগস্ট।

আবদ্রামানে বলেছেন, চিকিৎসক ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।

সূত্র: রয়টার্স