‘আলোচনার টেবিলেই শেষ হবে সুদানের যুদ্ধ’

গত ৫ মাসের তীব্র লড়াই বন্ধে সুদানের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) আলোচনায় বসা উচিত। এমনটাই মনে করেন সুদানের সার্বভৌম পরিষদের উপ-প্রধান মালিক আগর। তিনি বলেছেন, দ্বন্দ্ব নিরসনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করাটাও জরুরি।

দীর্ঘদিনের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের অভাবনীয় দুর্দশার কথা তুলে মঙ্গলবার মালিক আগর বলেছেন, ‘দিন শেষে আলোচনার টেবিলেই এই যুদ্ধ শেষ করতে হবে।’  

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য এই লড়াই থামানো। পাশাপাশি যুদ্ধপরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন ও প্রতিষ্ঠা করা।

এ অবস্থায় বৃহৎ অর্থে একটি সংলাপের প্রয়োজন মনে করেন তিনি।

তবে রাজধানী খার্তুমের আল জাজিরার প্রতিনিধি হিমা মরগান বলেছেন, ‘দেশটিতে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে কোনও আলোচনার লক্ষণ নেই। পূর্বে বার বার যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে সেনা ও আরএসএফ’কে তীব্র লড়াইয়ে লিপ্ত হতে দেখা গেছে। দেশের পরিস্থিতি ও বেসামরিক নাগরিকদের কথা বিবেচনা নিয়ে শিগগিরই দুইপক্ষ আলোচনার টেবিলে বসবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।’

পাঁচ মাসের লড়াইয়ে রাজধানীজুড়ে ধ্বংসস্তূপের চিত্র

ইতোপূর্বে সৌদি আরব ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচনা শুরু হলেও সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, রাজধানী খার্তুম, দারফুরসহ বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে ভারী লড়াই অব্যাহত আছে। 

ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানের প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলদের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। সংঘর্ষে নিহত ছাড়িয়েছে ৩ হাজার। বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা যৌন সহিংসতার কথা জানিয়েছেন। অনেকে আবার জাতিগত হত্যার কথা বলেছেন। এ ছাড়া এমন প্রেক্ষাপটে দেশটিতে ব্যাপক লুটপাট শুরু হয়েছে। দারফুর অঞ্চলে মানবতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধের বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

গত পাঁচ মাসে সুদান থেকে পালিয়ে লাখ লাখ মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। দেশটিতে চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য সংকট মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো। সূত্র: আল জাজিরা