আফ্রিকায় ওয়াগনারের ভবিষ্যৎ কী

বিমান দুর্ঘটনায় ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের ‘মৃত্যু’র পর ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সেনাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মস্কোতে সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আগে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিল ওয়াগনাররা।

আফ্রিকান দেশগুলোতে ভালোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে ওয়াগনার বাহিনী। সেখানে আল-কায়েদা এবং আইএস-এর মতো গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে  সুরক্ষা দিয়ে আসছে রাশিয়ার এই ভাড়াটে সেনাদের দল।

রাজনৈতিক ও সমর বিশ্লেষকরা বলছেন, আধিপত্য কায়েমে পুতিন সরকার সম্ভবত আফ্রিকায় ওয়াগনার যোদ্ধাদের মোতায়েন রাখতে পারে। আর এটা হতে পারে বাহিনীর নতুন নেতা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে।

অনেকে আবার বলছেন, আফ্রিকায় প্রিগোজিন গভীর, ব্যক্তিগত সংযোগ তৈরি করেছিলেন। তাই দ্রুত তার প্রতিস্থাপন করা মস্কোর জন্য খুব একটা সহজ নাও হতে পারে।

রাশিয়ার জন্য অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দুইভাবেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আফ্রিকা।

চলতি গ্রীষ্মে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে হওয়া একটি জাতীয় গণভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ওয়াগনার। এই ভোটের পর দেশটির প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হয়েছে। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মালির সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই ওয়াগনার। এ ছাড়া সম্প্রতি নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর জান্তা সরকার ওয়াগনারের সাহায্যের জন্য বাহিনীটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও জানা গেছে।  

আফ্রিকায় যোগাযোগ বাড়িয়ে মহাদেশটিতে পশ্চিমা প্রভাব কমানো ক্রেমলিনের অন্যতম চাওয়া। এ ছাড়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর পর অনেক বন্ধু হারিয়েছে মস্কো। আফ্রিকার সরকারগুলোকে হাতে রাখতে পারলে সেই ক্ষতি অনেকটায় পুষিয়ে যাবে রাশিয়ার।   

সূত্র: আল জাজিরা