রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দিমিত্রি মেদভেদেভ দাবি করেছেন, কয়েকটি দেশ সরাসরি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহে প্রস্তুত রয়েছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর এমন দাবি করলেন তিনি। শনিবার (২১ জুন) ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা- ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে বোমা হামলা চালায় মার্কিন যুদ্ধবিমান। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি গ্লোবাল এ খবর জানিয়েছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান উপ-সভাপতি মেদভেদেভ বলেন, একাধিক দেশ ইরানকে সরাসরি তাদের পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করতে প্রস্তুত।
মেদভেদেভ বলেন, যেসব স্থাপনায় হামলা হয়েছে- সেগুলোতে আঘাত তুলনামূলকভাবে সামান্য হয়েছে বা কোনও গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতি হয়নি। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন কার্যক্রম সম্ভবত অব্যাহত থাকবে ভরেও জানান তিনি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আরেকটি বড় সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। এবার ‘স্থল অভিযান’ শুরু হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন যে ইরানি নেতৃত্ব এই হামলার পর রাজনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
ট্রাম্পের সমালোচনা করে মেদভেদেভ বলেন, যিনি নিজেকে ‘শান্তির দূত’ বলে প্রচার করেছিলেন। তিনি আবারও একটি যুদ্ধ শুরু করলেন।
তিনি আরও দাবি করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্পষ্টতই বিশ্বে বেশিরভাগ দেশ অবস্থান নিয়েছে।’
১৩ জুন থেকে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের তীব্রতা বৃদ্ধির পর যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালায়। এর জবাবে তেহরান ইসরায়েলি শহর ও সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩০ জন নিহত এবং ৩,৫০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইরানি হামলায় ২৫ জন নিহত এবং কয়েক শতাধিক আহত হয়েছে।