৬০ বছরে সর্বোচ্চ স্তরে কঙ্গো নদীর পানি, নিহত শতাধিক

৬০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে বুধবার (১০ জানুয়ারি) সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছে কঙ্গো নদীর পানি। বৃষ্টির কারণে নদীর পানি ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআরসি) এবং কঙ্গো রিপাবলিকে বন্যা চোখ রাঙাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের মতে, গত কয়েক মাসে বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

বুধবার নদীর পানি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ দশমিক ২০ মিটার (২০ দশমিক ৩৪ ফুট) উপরে পৌঁছেছে। এটি ১৯৬১ সালের পর নদীর পানির স্তরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। তখন নদীর পানি ৬ দশমিক ২৬ মিটার উপরে পৌঁছেছিল।

পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা ডিআরসি রিভারওয়েস অথরিটি। এর জলবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ফেরি মোওয়া বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষের দিকে তার অফিস উচ্চ জলস্তর রেকর্ড করেছিল। তখন নদীর তীরবর্তী রাজধানী কিনশাসারের প্রায় পুরো এলাকায় বন্যার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।

সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডিআরসি-এর ঘনবসতিপূর্ণ কিনশাসার বেশ কয়েকটি এলাকা ইতোমধ্যেই বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি এক ডজনেরও বেশি প্রদেশেও বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।

গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক মাসে অঞ্চলটিতে প্রায় ৩০০ জন মারা গেছে। এতে ৩ লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত এবং কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

প্রতিবেশী কঙ্গো রিপাবলিক কর্তৃপক্ষ রয়টার্সকে জানিয়েছে, দেশটির নদী তীরবর্তী রাজধানী ব্রাজাভিলসহ আটটি বিভাগে বন্যায় কমপক্ষে ১৭ জন মারা গেছে। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬০ হাজারের বেশি পরিবার।

নিম্নমানের নগর পরিকল্পনা এবং দুর্বল অবকাঠামোর কারণে আফ্রিকার কিছু দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অঞ্চলগুলোতে ঘন ঘন ভারী বৃষ্টির পর আকস্মিক বন্যা দেখা দিচ্ছে।