জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের বিচার শুরু

জাতিসংঘের শান্তি মিশনে নিয়োজিত আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের বিচার শুরু হয়েছে। কঙ্গো শান্তি মিশনে নিয়োজিত তাঞ্জানিয়ার ১১ শান্তিরক্ষীর বিরুদ্ধেও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠেছে। ধর্ষক শান্তিরক্ষীদের সন্তান গর্ভে ধারণ করছেন বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতরা। সোমবার জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে এ কথা জানা গেছে।

noname

সোমবার কঙ্গোর একটি আদালতে সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের বিচার শুরু হয়েছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘের মিনুসকা শান্তি মিশনে থাকা কঙ্গোর তিন সদস্য সোমবার আদালতে উপস্থিত হন। কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসার উত্তরে এনডোলো সামরিক কারাগারে একটি ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচার হচ্ছে। ট্রাইব্যুনালের উপস্থিতির  সময় তাদের পরণে নীল রঙের কারা পোশাক ছিল।

যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর এই তিনজনেরই প্রথম বিচার শুরু হলো। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে নিয়োজিত আরও ১৮ জন সেনার বিরুদ্ধেও  বেসামরিক নারীদের ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার তাদেরকেও আদালতে হাজির করা হয়।

বিচার প্রসঙ্গে কঙ্গোর আইনমন্ত্রী আলেক্সিস থাম্বুয়ি মুয়াম্বা বার্তা সংস্থা এএফপি বলেন, আমরা এই বিচারে পূর্ণ স্বচ্ছতা চাই। কয়েকজন ব্যক্তি কুকর্মের জন্য পুরো সেনাবাহিনী কলঙ্কিত হতে পারে না।

গত কয়েক মাস ধরে শান্তিরক্ষীদের দ্বারা যৌন নিপীড়নের ঘটনায় আলোচনায় জাতিসংঘ। বিশেষ করে কঙ্গো ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে আরও অন্তত ১০০ জন মেয়ে ও নারী শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের কঙ্গো মিশন শুক্রবার প্রথমবারের মতো জানায়, তাঞ্জানিয়ান ১১ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পেয়েছেন তারা। উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। নির্যাতনের শিকার নারীদের চিকিৎসা, মানসিক ও সামাজিক সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও জানায় সংস্থাটি।

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনের মুখপাত্র স্টেফানে দুজারিক জানান, অসমাপ্ত তদন্ত শেষ করতে কঙ্গোর উত্তরাঞ্চলের মাভিভি গ্রামে শান্তিমিশনে থাকা ফোর্স ইন্টারভেনশন ব্রিগেডের অভিযুক্ত সদস্যদের  ক্যাম্পে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

মুখপাত্র জানান, তাঞ্জানিয়ানদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের আরও অভিযোগ আসবে না তা বলা যাচ্ছে না। তবে কেউ নির্যাতনের শিকার হলে অভিযোগ জানাতে উৎসাহ দিয়েছেন তিনি।

১৯৯৯ সালে ২০ হাজার শান্তিরক্ষী নিয়ে জাতিসংঘের কঙ্গো শান্তি মিশন যাত্রা শুরু করে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

/এএ/