কাস্ত্রোর মৃত্যুতে কিউবায় ৯দিনের শোক পালনের ঘোষণা

প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের অফিসে কাস্ত্রোকিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং কমিউনিস্ট বিপ্লবের কিংবদন্তী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে ৯ দিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ৪ ডিসেম্বর সান্তিয়াগো ডে কিউবাতে তাকে সমাহিত করা হবে। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

শুক্রবার ৯০ বছর বয়সী এ নেতার জীবনাবসান হয়েছে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। ফিদেলের ভাই এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোই তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

শোক পালনের অংশ হিসেবে পূর্ব নির্ধারিত সব ধরনের সরকারি অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। সরকারি ও সামরিক ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। টেলিভিশন ও রেডিওতে এ বিষয়ে বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে।

বিপ্লবী এ নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েটো, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরিয়া, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিশ্বনেতাদের অনেকে শোক জানিয়ে টুইট করেছেন। ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

৪৯ বছর ধরে কিউবা শাসন করেছেন কাস্ত্রো। যে কিউবা একসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্লেগ্রাউন্ড বলে বিবেচিত হতো, যেখানকার দরিদ্ররা সামাজিকভাবে অসমতায় বাস করতো-সেই কিউবাকে রেকর্ড মানবাধিকারের দেশে পরিণত করেছিলেন কাস্ত্রো। কারও কারও কাছে তিনি নায়ক বলে বিবেচিত হতেন। সমর্থকদের চোখে কাস্ত্রো ছিলেন এমন এক নেতা যিনি জনগণের কাছে দেশকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে তার বিরোধীরা বলতো, কাস্ত্রো বিরোধীদের দমন-পীড়নের ক্ষেত্রে নৃশংসতা দেখিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং এর কয়েকটি মিত্র দেশের কাছে হুমকিজনক বলে বিবেচিত ফিদেল কাস্ত্রো লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের কাছে সমাদৃত ছিলেন। সূত্র: গার্ডিয়ান।

/এএ/