খবরে বলা হয়েছে, কিছু লোক জন্মের পরই শিশুর হাঁটার বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছেন না। ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া শিশুটির ফেসবুকে আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যায়, জন্মের মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে শিশুটির হাঁটতে শুরু করা দেখে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না ধাত্রী। তিনি বলতে থাকেন, ‘হায় খোদা, মেয়েটি হাঁটছে। ঈশ্বর মহান!’
কক্ষের মধ্যে থাকা আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘অপেক্ষা করুন, আমি ভিডিও ধারণ করব।’
ওই ধাত্রী জানান, তিনি কন্যাশিশুটিকে গোসল করাতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু মেয়েটি উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটতে চাইছিল বার বার। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর দয়াময়। আমি এখানে তাকে গোসল করাতে চেয়েছিলাম। আর সে উঠে হাঁটতে চাইছিল। সে এখান থেকে ওখানে হাঁটতে থাকে।’
ভিডিওতে দেখা যায়, যারা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করছিলেন তাদের কেউ তা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।
শিশুটির বাবা-মায়ের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি এটা ব্রাজিলের কোন হাসপাতাল তাও জানা যায়নি। তবে ধাত্রীর পোশাক দেখে অনেকেই ধারণা করছেন এটা সান্তা ক্রুজ হাসপাতাল। এটি দক্ষিণ ব্রাজিলের রিও গ্রান্ডে দো সুল-এ অবস্থিত।
সাধারণত জন্মের ১২ মাস পর শিশুরা হাঁটতে শুরু করে। তবে তা হামাগুড়ি ও বসতে চেষ্টা করার আগে কখনোই হয় না। ফলে মানুষ এই শিশুকে ‘অলৌকিক শিশু’ বলে আখ্যায়িত করছেন।
অবশ্য চিকিৎসকরা বলছেন এখানে অলৌকিক কোনও ঘটনা নেই। এ ঘটনাকে নবজাতকের স্বাভাবিক জন্মগত প্রতিক্রিয়া ‘প্রাইমিটিভি রিফ্লেক্স’ বলা হয়ে থাকে। এ তথ্য অনুসারে, নবজাতকরা নিজেদের শরীরের ভার বহন করতে পারে না। যখন শিশুর পা সমতল কিছুতে পড়ে তখন স্বাভাবিকভাবেই তারা হাঁটতে চায়। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
/এএ/