নৈতিকতার নীতি লঙ্ঘন করেছেন জাস্টিন ট্রুডো

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত বছর আগা খানের ব্যক্তিগত দ্বীপে ছুটি কাটিয়ে নৈতিকতার নীতি লঙ্ঘন করেছেন। বুধবার কানাডার নৈতিকতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে। তাদের মতে, এর ফলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাত নীতি ভঙ্গ হয়েছে। কানাডার কোনও প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম এ ধরনের নৈতিকতার নীতি লঙ্ঘন। এ ঘটনায় ট্রুডোর জনপ্রিয়তায় প্রভাব পড়তে পারে কিন্তু তিনি কোনও শাস্তির মুখোমুখি হবেন না।

জাস্টিন ট্রুডো

কানাডার স্বার্থের সংঘাত ও নীতি কমিশনার ম্যারি ডাউসন জানান, জাস্টিন ট্রুডো দেশটির উপহার গ্রহণের নীতি লঙ্ঘন করেছেন যখন তিনি ২০১৬ সালে মার্চ ও ডিসেম্বরে তিনি আগা খানের দ্বীপে ছুটি কাটান। কারণ ওই সময় আগা খান ও আগা খান ফাউন্ডেশন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে লবি সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত ছিল।

ডাউসন বলেন, পরিবারসহ ট্রুডো ছুটি কাটানোর আমন্ত্রণ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে বিষয়টি দেখা যেতে পারে।

ডাউসন জানান, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আগা খানের হেলিকপ্টার ব্যবহার করেও নৈতিকতার নীতি লঙ্ঘন করেছেন ট্রুডো। তবে এই সময়ে ট্রুডো আগা খান বা তার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারি কোনও কাজ নিয়ে আলোচনার প্রমাণ পাননি।

ট্রুডো দাবি করেছেন, আগা খান তাদের পারিবারিক বন্ধু। তবে ডাউসন জানান, উপহারের ক্ষেত্রে বন্ধুদের জন্য আলাদা কোনও নীতি নেই।

পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার এই প্রতিবেদন মেনে নিয়েছেন ট্রুডো। জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে ছুটি কাটানোর বিষয় সংস্থার সঙ্গে স্পষ্ট করে নেবেন। তিনি বলেন, এই ঘটনার পুরো দায় আমি নিচ্ছি। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও নিন্দার ঊর্ধ্বে নয়।

পরিবারসহ ট্রুডো দ্বীপটি ভ্রমণ করেন ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে এই বছরের জানুয়ারিতে। এর আগে ২০১৬ সালের মার্চে তার পরিবারের সদস্যরা দ্বীপটি ভ্রমণ করেন।

বাহামায় বিলাসবহুল ছুটি কাটানোর পর বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রুডো। তাদের মতে, এই ছুটি যথাযথ ছিল না। কানাডার সাধারণ নাগরিকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে ট্রুডোর সরকার।

ট্রুডো জানিয়েছেন, আগা খানকে তিনি শৈশব থেকেই চেনেন। তারা বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে পল বিয়ারার ছিলেন শিয়া নেতা। সূত্র: রয়টার্স