পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারা

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির কানাডায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মার্টিন ভিজকারা। শুক্রবার ৩ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিকে যেকোনও মূল্যে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৫৫ বছর বয়সী ভিজকারা। পেরুর নতুন এই রাষ্ট্রপতি নিশ্চিত অভিশংসনের মুখে থেকে পদত্যাগ করা কুকজিন্সকির বিষয়ে সমালোচনা থামাতেও আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সংসদ সদস্যদের প্রতি। রয়টার্স জানিয়েছে, মিতভাষী এই নতুন প্রেসিডেন্ট আগে একবার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। 

martin

পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারা একজন পুর-প্রকৌশলী। তার নিজের এলাকা মোকিউগুয়াতে স্থানীয় দুর্নীতিবাজ নেতাদের সামনে নিজেকে শক্তিহীন অবস্থায় আবিষ্কার করা ও পরে সরকারি নীতিনির্ধারকদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে অবজ্ঞার স্বীকার হওয়ার অভিজ্ঞতা ভিজকারাকে রাজনীতিতে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল। অবশ্য তার বাবা আগেই স্থানীয় শহরের মেয়র ছিলেন। ভিজকারা তার বাবার প্রেরণায় মোকিউগুয়ার গভর্নর হন ২০১১ সালে। ওই পদে থাকা অবস্থায় নেতা হিসেবে তিনি অনেকে নজর কাড়েন।

প্রেসিডেন্ট শপথ নেওয়ার পর ভিজকারার সামনে উপস্থিত হওয়া সবচয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, নতুন নির্বাচনের দাবি। দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতাচ্যুত করতে দেশটির বিরোধী দলের সদস্যরা নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। তারা প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেস উভয় নির্বাচনই দাবি লড়েছে। পেরুর কংগ্রেসে বিরোধী দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

অন্যদিকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া প্রেসিডেন্ট পেদরো পাবলো কুকজিন্সকি তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি বিরোধী দলের অপপ্রচারের শিকার। তবে বিরোধীদের নেত্রী কিইকো ফুজিমোরি প্রেসিডেন্ট হওয়ার ভিজকারাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সফলতা কামনা করেছেন।

ভিজকারা আগে পেরুর ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কিন্তু কুকজিন্সকির বিরুদ্ধে ক্রমেই দুর্নীতির অভিযোগ বাড়তে থাকলে ভিজকারা ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে তিনি কানাডায় পেরুর রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।