চীনবিরোধী অবস্থান শক্তিশালী করতে ভারত আসছেন পম্পেও

মার্কিন নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ভারত সফর করবেন। তাদের এই সফরের লক্ষ্য মূলত চীনের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রভাব মোকাবিলা। হোয়াইট হাউজের লড়াইয়ে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে যখন হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ট্রাম্প, তখন এই সফরের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চীনবিরোধী বার্তা নিয়ে নয়া দিল্লিতে আলোচনা হবে।

3000

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার মঙ্গলবার কৌশলগত ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। এরপর তারা শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া সফর করবেন। তাদের এই পুরো সফরের লক্ষ্য হলো নির্বাচনি প্রচারে বাইডেনকে চীনের প্রতি দুর্বল বলে ট্রাম্প যে চীনবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন ও বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছেন সেটিকে জোরদার করা।

পুনরায় নির্বাচিত হতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরছেন ট্রাম্প। কিন্তু বৃহস্পতিবার জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তিনি, তাতে এই বন্ধুত্ব কাজে আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বাইডেনের সঙ্গে শেষ বিতর্কে ট্রাম্প বলেছেন, চীনকে দেখুন, কি নোংরা। রাশিয়াকে দেখুন, ভারতকে দেখুন, নোংরা। তাদের বাতাস দূষিত।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের প্রভাব ভারতীয়দের ওপর কতটুকু পড়বে কিংবা পম্পেও ও এসপারের সফর প্রভাবিত হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে নির্বাচনের কথা বাদ দিলেও ভারত-মার্কিন সম্পর্কের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।

সীমান্তে নয়া দিল্লি ও বেইজিংয়ে উত্তেজনা থাকা এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কে করোনাভাইরাস, বাণিজ্য, প্রযুক্তি, তাইওয়ান, তিব্বত, হংকং ও মানবাধিকার নিয়ে তিক্ততা বিরাজ করছে। এই দুই পরিস্থিতি চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারে। এছাড়া ভারত কাশ্মির নিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যায় রয়েছে। এই সংকটে চীন ও পাকিস্তানের হুমকি মোকাবিলা করতে হচ্ছে ভারতকে।

চীনকে মোকাবিলার জন্য ভারতসহ এই সফর যে গুরুত্বপূর্ণ তা বলতে কোনও গোপনীয়তা রাখেননি মাইক পম্পেও। তিনি বলেছেন, আমি নিশ্চিত এসব বৈঠকে আলোচনা হবে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির হুমকি মোকাবিলায় স্বাধীন দেশগুলোর কীভাবে একত্রে কাজ করতে পারে।

এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বেইগান দিল্লি সফর করেছেন। তিনি চীনকে ঘরে থাকা হাতি বলে উল্লেখ করেছেন। সূত্র: এপি