কানাডায় ১০টি গির্জায় ভাঙচুর

কানাডার জাতীয় দিবসে আলবার্টা এলাকায় দশটি গির্জায় ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ এসব ভাঙচুরের ঘটনাকে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক অবিচারে সৃষ্ট ক্ষোভের সম্পর্কিত বলে দাবি করেছে। তদন্তকারীরা বলছেন, কালগারি শহরের গির্জাগুলোতে কমলা ও লাল ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

এই ভাঙচুরের ঘটনা এমন সময় ঘটলো যখন কানাডায় বেশ কয়েকটি খ্রিস্টীয় আবাসিক স্কুলে আদিবাসী শিশুদের দেহাবশেষ উদ্ধারের ঘটনা সামনে আসছে। ১৯ ও ২০তম শতাব্দীতে আদিবাসী শিশুদের সভ্য করে তোলার নামে পরিচালিত হতো ১৩০টিরও বেশি আবাসিক স্কুল। কানাডার সরকার ও ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ এসব স্কুল পরিচালনা করতো। এসব স্কুলে শিশুদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ছিলো। গত মে মাসে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার কামলুপস এলাকার একটি পুরনো আবাসিক স্কুলের ভবন থেকে ২১৫ শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। পরের মাসে সাসকাচেওয়ান প্রদেশের পুরনো একটি আদিবাসী আবাসিক স্কুলে মেলে ৭৫১টি কোনও চিহ্ন না থাকা কবর। সর্বশেষ বুধবার ব্রিটিশ কলম্বিয়া রাজ্যের ক্রানব্রুক এলাকার একটি স্কুলের কাছে ১৮২টি কবর পাওয়া যায়। 

আলবার্টার প্রিমিয়ার জ্যাসন কেনি বৃহস্পতিবার জানান, কালগারি শহরের আফ্রিকান ইভানজেলিকাল গির্জায় ভাঙচুর হয়েছে। এই গির্জায় প্রার্থনাকারীরা বেশিরভাগ শরণার্থী। এরা কানাডায় এসেছিলেন শান্তিপূর্ণ উপায়ে ধর্মীয় বিশ্বাস পালনের জন্য। গির্জায় হামলার ঘটনা অনেকে মানসিকভাবে আহত হয়েছে। ঐতিহাসিক অবিচার আমাদের এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।  

কালগারি পুলিশ জানায়, ভাঙচুরের এসব ঘটনা ঘটেছে বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে। যেসব স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে সেগুলো সবই খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের।

এক বিবৃতিতে তারা জানায়, এমন ভাঙচুর আইন সম্মত নয়। এতে আরও বিভাজন, ভয় ও আমাদের শহরের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।

এর আগে শনিবার কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় দুটি গির্জায় আগুন লাগে। তার আগে সোমবার একই প্রদেশে আরও দুটি ক্যাথলিক গির্জা আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে।