যুক্তরাষ্ট্রের ডিইএ এজেন্ট পরিচয়ে হাইতির প্রেসিডেন্টকে হত্যা!

হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসিমকে হত্যার ঘটনায় চলছে ব্যাপক অনুসন্ধান। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া বন্দুকধারীরা নিজেদের যুক্তরাষ্ট্রের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিইএ)-এর এজেন্ট পরিচয় দিয়ে প্রেসিডেন্টের বাড়িতে প্রবেশ করে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত হাইতির রাষ্ট্রদূত বুকচিত এডমোন।

হাইতির আলাচিত-সমালোচিত প্রেসিডেন্ট গত বুধবার নিজ বাড়িতে খুন হওয়ার পর দেশটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হামলাকারীদের ধরতে দেশজুড়ে চলছে অভিযান। প্রেসিডেন্টকে হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহ এখন পর্যন্ত চার সন্দেহভাজন হামলাকারী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে। যদিও কাদের নির্দেশে এ হামলায় হয়েছে তা এখনও কুলকিনারা করতে পারেনি প্রশাসন।

প্রেসিডেন্ট মোইসিমকে হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হাইতির রাষ্ট্রদূত বুকচিত এডমোন। বার্তাসংস্থা রয়র্টাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বন্দুকধারীরা মার্কিন মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিইএ)-এর ভুয়া এজেন্ট পরিচয় দিয়ে প্রেসিডেন্টের বাড়িতে প্রবেশ করে। এক ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে বলেও জানান তিনি। 

তবে, ‘হামলাকারীরা ডিইএ’র এজেন্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই’ বলেও মনে করেন রাষ্ট্রদূত বুকচিত এডমোন। ওয়াশিংটনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোইসিম আরও যোগ করেন, ‘অস্ত্রধারীরা বিদেশি ভাড়াটে খুনি এবং পেশাদার’।

বিশ্বের অনেক দেশের মতো হাইতির প্রেসিডেন্ট হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। তবে ডিইএ’র এজেন্ট দ্বারা মোইসি খুন হয়েছেন, এমন ধারণা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নিড প্রাইস। নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, দেশটির অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে হাইতি সরকারকে যে কোন সহায়তা দিতে প্রস্তুত ওয়াশিংটন'।

স্থানীয় সময় বুধবার ভোর রাতে অজ্ঞাত প্রেসিডেন্টের বেসরকারি বাসভবনে হামলা চালিয়ে তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে হামলাকারীরা। হামলায় গুরুতর আহত ফার্স্টলেডিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।