কিউবা নীতিতে বদল আনলো যুক্তরাষ্ট্র

কিউবা সংক্রান্ত নীতিতে বদল আনার উদ্দেশে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার ঘোষিত এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে ট্রাম্প আমলে আরোপ করা পারিবারিক রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর বিধিনিষেধ প্রত্যাহার, দ্বীপরাষ্ট্রটিতে ভ্রমণের অনুমতি প্রদান এবং কিউবার নাগরিকদের জন্য মার্কিন ভিসা প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে বাড়ানো।

মার্কিন সরকারের এক দীর্ঘ পর্যালোচনার পর এসব পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর হাভানার প্রতি মার্কিন মনোভাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বদল আনা হয়েছে।

তবে এই ঘোষণায় মার্কিন-কিউবা সম্পর্কে ঐতিহাসিক সমঝোতায় ফেরানোর উদ্যোগের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার তত্ত্বাবধানে ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন।

 প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার প্রকৌশলী ঐতিহাসিক সমঝোতায় ফিরিয়ে আনার জন্য থেমে যায়, যার অধীনে বিডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ওবামা আমলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সংকুচিত করা এবং ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান সোমবার ঘোষিত পদক্ষেপের মাধ্যমে কিউবার জনগণের প্রতি আরও বেশি সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এতে তারা কিউবার সরকারের নিপীড়ন থেকে মুক্ত জীবন যাপনের বাড়তি উপকরণ পাবে এবং আরও বেশি অর্থনৈতিক সুবিধা খোঁজার সুযোগ পাবে।

পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র পারিবারিক রেমিট্যান্স পাঠানোর সীমা তুলে নেবে। আগে চার মাসে এক হাজার মার্কিন ডলার এই রেমিট্যান্স কিউবায় পাঠানোর সুযোগ ছিল। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র অনাত্মীয়দের অনুদানমূলক রেমিট্যান্স পাঠানোর অনুমোদন দেবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে জানিয়েছে তারা কিউবা সীমাবদ্ধ তালিকা থেকে কারও নাম সরাবে না। পররাষ্ট্র দফতরের এই তালিকায় কিউবার সরকার এবং সেনাবাহিনীর পাশাপাশি তাদের সমর্থিত কোম্পানিগুলোর নাম রয়েছে। এগুলোর সঙ্গে কোনও মার্কিন প্রতিষ্ঠান কিংবা নাগরিক বাণিজ্য করতে পারে না।

মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা কিউবার জনগণের কাছে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও স্বাধীনভাবে বাড়ানো নিশ্চিত করতে চাইছি, একই সঙ্গে মানবাধিকার নিপীড়নে জড়িতদের ধনী হওয়া ঠেকাতে চাই।‘

ওই কর্মকর্তা জানান, সরাসরি কিউবার সরকারের কাছে অর্থ যাওয়া ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে ‘ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট প্রসেসরস’ ব্যবহার করবে। তিনি জানান ‘এই কারণে একটি বেসামরিক প্রসেসর প্রতিষ্ঠায়’ যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই কিউবার সরকারের সঙ্গে কাজ করছে।

সূত্র: রয়টার্স