খেরসনে যুদ্ধাপরাধের তদন্তে ইউক্রেন

রুশ দখলদারিত্বে থাকাকালে খেরসনে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনীয় পুলিশের তরফে আট মাসের দখলদারিত্বের সময়ে রুশ বাহিনীর সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

৯ নভেম্বর রুশ সেনাদের খেরসনের পশ্চিম তীর থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। সেপ্টেম্বরে যে চারটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে খেরসন সেগুলোর একটি। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার দখল করা একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানী এটি। ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে এই শহরটির অবস্থান।

রুশ বাহিনী শহরটি ছেড়ে যাওয়ার পর ইতোমধ্যেই ইউক্রেনীয় সেনারা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ফের মাঠে নেমেছে পুলিশ সদস্যরাও।

ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশ প্রধান ইহোর ক্লাইমেনকো বলেছেন, প্রায় ২০০ জন কর্মকর্তা শহরে কাজ করছেন। বিভিন্ন স্থানে চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হচ্ছে। সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ নথিভুক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা।