বিস্ফোরণের পর খনিতে দুই দিন ধরে আটকা ১০ শ্রমিক

বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হওয়ার পর মধ্য কলম্বিয়ার কয়লা খনিতে আটকে পড়া ১০ শ্রমিককে বাঁচাতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী এবং খনি শ্রমিকরা।

সুতাতাউসার মেয়র জেইম আরেভালো এএফপিকে বলেন, ‘মিথেন গ্যাসের কারণে ভূগর্ভস্থ কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার রাতে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়েছিল।’

মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘ত্রাণ সংস্থাগুলো নিখোঁজ খনি শ্রমিকদের খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাটির ৯০০ মিটার (২,৯৫০ ফুট) গভীরে তারা আটকা আছেন।’

মেয়র বলেন, ‘যখন বিস্ফোরণ ঘটে, তখন পাম্পিং, ড্রেনেজ এবং আলোর ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।’

উদ্ধার প্রচেষ্টাকে খুব জটিল বর্ণনা করে মেয়র আরও বলেন, ‘অক্সিজেন ফুরিয়ে আসছে। ভেতরে পানি জমতেও শুরু করেছে।’

এদিকে তীব্র শীত উপেক্ষা করে খনির বাইরে স্বামী, সন্তানের জীবিত ফিরে পাওয়ার আশায় বসে আছেন স্বজনরা। উদ্ভূত পরিস্থিতে উদ্ধারকারীরা খনির চারপাশের কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। ভেতরে অক্সিজেন সরবরাহের পাশাপাশি মেশিনের সাহায্যে খনি থেকে পানি বের করছে তারা। 

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো এক টুইটার বার্তায় এই ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আটকে পড়া লোকদের জীবিত উদ্ধারের জন্য কুন্দিনামার্কা আঞ্চলিক সরকারের সঙ্গে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

জাতীয় খনি সংস্থা এএনএম জানায়, সুতাতাউসার খনি থেকে দুই শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে।

এএনএম টুইটারে লেখে, ‘যা ঘটেছে তার জন্য আমরা দুঃখিত। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি।’

কুন্দিনামার্কা বিভাগের গভর্নর নিকোলাস গার্সিয়া বলেন, ‘একজন শ্রমিকের হাতিয়ারের স্ফুলিঙ্গ ভেতরে জমে থাকা গ্যাসগুলোর সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরণ ঘটে।

সূত্র: টিআরটি