বিমান বিধ্বস্তের পর পাঁচ সপ্তাহ যেভাবে জঙ্গলে কাটালো চার শিশু

উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পাঁচ সপ্তাহেরও বেশি সময় পর কলম্বিয়ার জঙ্গল থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে চার শিশুকে। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, এই চার শিশু একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের। কলম্বিয়ার ক্যাকুয়েটা এবং গুয়াভিয়ার প্রদেশের মধ্যে সীমান্তের কাছ থেকে শুক্রবার সামরিক বাহিনী তাদের উদ্ধার করে। এই স্থানেই বিধ্বস্ত হয়েছিল ছোট বিমানটি।

কেসনা ২০৬ ফ্লাইটটি আমাজনাস প্রদেশের আরাকুয়ারা এবং গুয়াভিয়ার প্রদেশের শহর সান জোসে দেল গুয়াভিয়ারের মধ্যে একটি রুটে সাত জনকে নিয়ে যাচ্ছিল। ১ মে ভোরে ইঞ্জিনের সমস্যার কারণে এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এটি। এতে পাইলটসহ তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক মারা যান। তাদের মরদেহ উড়োজাহাজের ভেতরে পাওয়া গেছে।

জীবিত উদ্ধার হওয়া শিশুদের বয়স ১৩, ৯, এবং ৪ বছর। সঙ্গে আছে ১২ মাস বয়সী একটি শিশুও।

 

 

তিন মেয়ে এবং এক ছেলের দাদা নার্সিজো মুকুটুই সাংবাদিকদের বলেন, ‘ আমি ভীষণ আনন্দিত। নাতি-নাতনিদের খুঁজে পেয়ে খুব খুশি।’

কর্মকর্তারা বলেছেন, শিশুরা হুইটোতো সম্প্রদায়ের সদস্য। রেইনফরেস্টে কীভাবে বেঁচে থাকতে হয় সে সম্পর্কে অল্পস্বল্প জ্ঞান ছিল। তারা বলছেন, শিশুদের ফেলে রাখা আধ খাওয়া ফল এবং গাছপালা দিয়ে তৈরি করা আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিল উদ্ধারকারীরা। তাই অভিযান কিছুটা সহজ হয়েছিল। 

সূত্র: আল জাজিরা