চিকুনগুনিয়ার প্রথম টিকার অনুমোদন

মশাবাহিত ভাইরাস জ্বর চিকুনগুনিয়ার প্রথম টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম নিয়ন্ত্রণ সংস্থা খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন-এফডিএ। বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) ইক্সচিক নামের এই টিকা অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। এটি ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রয়োগ করা হবে। ১৮ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী মানুষ এই টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে এফডিএ’র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র পিটার মার্কস বলেন, ‘এই রোগের প্রথম টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী আবিষ্কার।’

চিকুনগুনিয়ার টিকা উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে ইউরোপের ওষুধ কোম্পানি ভালনেভা। তিন ধাপে মেডিক্যাল ট্রায়াল দিয়ে এই টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছে তারা। সেসব ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন অন্তত ৩ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবী। ট্রায়ালে সাধারণ উপসর্গ হিসেবে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, পেশিতে ব্যথা, সন্ধিতে ব্যথা, জ্বর, বমিভাব অনুভব হয়েছে। তাছাড়া টিকা প্রয়োগের স্থানে জ্বালাপোড়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, টিকা গ্রহণের ২৮ দিন পর ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের ৯৮.৯ শতাংশই চিকুনগুনিয়া ভাইরাস নেগেটিভ হয়েছেন।

মশাবাহিত ডেঙ্গু ও জিকার মতো চিকুনগুনিয়াও এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগ ১৯৫২ সালে আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করা হয়। পরে ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়ার মতো এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এর বিস্তার ঘটে।