উইকিলিকসকে গোপন নথি সরবরাহ, সাবেক সিআইএ কর্মকর্তার ৪০ বছর কারাদণ্ড

বিকল্প ধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসকে গোপন নথি সরবরাহের অভিযোগে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। সংস্থাটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গোপন তথ্য চুরির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। এছাড়া শিশু নির্যাতনের ছবি নিজের কাছে রাখার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ফেডারেল প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, মার্কিন জেলা বিচারক জেসি ফুরম্যানের আদালত এই রায় দেন। জোশুয়া শুল্টের বিরুদ্ধে ‘গুপ্তচরবৃত্তি, কম্পিউটার হ্যাকিং, আদালত অবমাননা, এফবিআইকে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া এবং শিশু পর্নোগ্রাফির’ অভিযোগ ছিল। প্রসিকিউটরদের অনুরোধে বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেননি।

উইকিলিকসের কাছে তথাকথিত ভল্ট-৭ এর তথ্য সরবরাহ করেছিলেন জোশুয়া শুল্ট। এছাড়া গুপ্তচরবৃত্তি ও কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের চারটি এবং এফবিআই এজেন্টদের কাছে মিথ্যা বলার একটি অভিযোগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। গত আগস্টে এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।  

২০১৭ সালের মার্চে শুল্টের সরবরাহ করা তথ্যগুলো প্রকাশ করে উইকিলিকস। যেখানে দেখানো হয়, সিআইএ কীভাবে ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং-এর মাধ্যমে বিদেশি সরকার, কথিত চরমপন্থি ও অন্যদের ওপর নজরদারি করে। তথাকথিত ভল্ট-৭ ফাঁসের ঘটনায়, ডিজিটাল যুগেও গোপন নথি রক্ষায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার অক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে উইকিলিকস।

ওই সময় ভীষণ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায় সিআইএ ও এফবিআই। শুল্টের এই কার্যকলাপকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তথ্য চুরির অপরাধ হিসেবে দাবি করেছেন প্রসিকিউটররা।

এরপর পরই শুল্টের নিউ ইয়র্কের অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে শিশুদের যৌন নির্যাতনের হাজার হাজার ছবি ও ভিডিও পাওয়া যায়। তার ওই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সিআইএ’র ফাঁস হওয়া গোপন তথ্যের পাসওয়ার্ডও উদ্ধার করা হয়।