ভেনেজুয়েলার নির্বাচন

মাদুরোর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বিজয়ী হিসেবে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাষ্ট্র

ভেনেজুয়েলার বিতর্কিত নির্বাচনের বিজয়ী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রতিদ্বন্দী এডমুন্ডো গঞ্জালেসকে বিজয়ী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) এই স্বীকৃতির মাধ্যমে মাদুরোর জয়ের দাবিকেও প্রত্যাখান করা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ব্যাপক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশেষত ভেনেজুয়েলার জনগণের কাছে এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মাণ হয়েছে যে, ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এডমুন্ডো গঞ্জালেস উরুশিয়া সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়েছেন।’

ওয়াশিংটনের বিবৃতিতে যদিও গঞ্জালেসকে ‘সফল প্রচারণা’ পরিচালনার জন্য অভিনন্দন জানানো ছাড়া তেমন কিছু ছিল না, তবে বিতর্কিত নির্বাচনের পর এই স্বীকৃতির মাধ্যমে তাকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক-এর নতুন নেতা হিসেবে মেনে নেওয়া হলো।

নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই ভেনেজুয়েলাতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মাদুরোকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচনি কর্তৃপক্ষ। তিনি ৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়।

এই ফল প্রত্যাখান করে বিরোধীরা।  ৯০ শতাংশ ভোটারের ওপর জরিপ চালিয়ে তারা দাবি করে, মাদুরোর চেয়ে তাদের প্রার্থী দ্বিগুণ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনের আগে স্বাধীনভাবে পরিচালিত একটি জরিপের ফল তাদের এই দাবিকে সমর্থন করছে।

বিরোধীরা একটি উন্মুক্ত ওয়েবসাইটে নির্বাচন সংক্রান্ত নিজেদের জরিপের ফল প্রকাশ করেছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ব্লিঙ্কেনের বৃহস্পতিবারের বক্তব্যে ভেনেজুয়েলার ওপর নতুন কোনও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে ‘শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’ নেওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। এর আগে রয়টার্স মঙ্গলবার জানিয়েছিল যে, বিতর্কিত নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি ওয়াশিংটনের বিবেচনায় রয়েছে।

ব্লিঙ্কেন তার বিবৃতিতে বলেন, ‘ভেনেজুয়েলাতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়াতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে যৌথভাবে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে আমরা সবসময় প্রস্তত।’

বিরোধী দলীয় নেতাদের সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চাকারী নাগরিকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সহিংসতার হাতিয়ার হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যবহার করা উচিত নয়।”

নির্বাচনি এই বিতর্কের মধ্যে বৃহস্পতিবার ভেনেজুয়েলাকে ভোটের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন ব্রাজিল, মেক্সিকো ও কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান।