উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুসং নগরীর একটি বিমান ঘাঁটির কাছ থেকে শনিবার দুপুরের পরপরই মুসুদান ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়। ক্ষেপনাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকরা সাধারণত এ ধরণের পরীক্ষা চালানোর খবর কয়েক ঘণ্টা এমনকি কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু শনিবারের এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার খবর প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর প্রকাশ করা হলো।
দক্ষিণ কোরিয়ার একজন জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ কর্মকর্তা সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, এটি উৎক্ষেপণের পরপরই বিস্ফোরিত হয়।’
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের পরপরই বিস্ফোরিত হওয়ার হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। জাতিসংঘের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সহযোগিতা করবে বলে একজন অজ্ঞাত কূটনীতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। কিন্তু চীন স্পষ্ট জানায়নি যে, তারা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপকে সমর্থন জানাবে।
উত্তর কোরিয়ার প্রধান মিত্র ও ব্যবসায়িক অংশীদার চীন। কিন্তু সম্প্রতি কিম জং উনের আক্রমণাত্মক মনোভাব ও সামরিক পদক্ষেপে উদ্বিগ্ন চীনও। সূত্র: এএফপি।
/এএ/