ইঁদুর খেয়ে বেঁচেছিলেন সোমালিয়ায় অপহৃত নাবিকরা

nonameসোমালি দস্যুদের হাতে অপহৃত এশীয় নাবিকরা বেঁচে থাকার জন্য ইঁদুর খেতে বাধ্য হয়েছিলেন। সম্প্রতি মুক্তিপণ দেওয়ার পর মুক্তি পাওয়া এসব নাবিকদের একজন এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ফিলিপাইনের নাবিক আর্নেল বালবেরো জানান, তাদেরকে অল্প পরিমাণ পানি দেওয়া হতো। অপহৃত হওয়ার পর সাড়ে চার বছর তাদের প্রায় মৃতের মতোই বেঁচে থাকতে হয়েছে।

দস্যুদের আচরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের সামান্য পানি দিত শুধু। আমরা ইঁদুর খেতাম। আমরা তা বনে রান্না করে খেতাম। ক্ষুধার যন্ত্রণায় আমরা যা পেয়েছি তা-ই খেয়েছি, আপনারাও তাই করবেন।’

বন্দিজীবন থেকে মুক্ত হওয়ার পর স্বাভাবিক জীবনে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা সম্পর্কে বলেন, ‘আমি জানি না কেমন হবে তা... মুক্তি পাওয়ার পর নতুন করে সবকিছু শুরু করা অনেক কঠিন হবে।’

২০১২ সালের মার্চ মাসে আফ্রিকার জলসীমা সিসিলি এলাকার কাছে ‘এফভি নাহাম-৩’ জাহাজে হামলা চালিয়ে সোমালিয়ার জলদস্যু বাহিনী ২৬ জন এশীয় নাবিককে অপহরণের পর জিম্মি করে। অপহৃতরা নাবিকরা চীন, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়ার, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের নাগরিক। অপহরণের সময় মারা যান এক নাবিক।

নাবিকদের অপহরণের এক বছরের মাথায় জাহাজটি ডুবে যায়। এরপর নাবিকদের সোমালিয়ার কূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় দুজন নাবিক অসুস্থ হয়ে মারা যান।

সাড়ে চার বছরের বেশি সময় জিম্মিদশায় থাকার পর সম্প্রতি তাদের মুক্তি দিয়েছে জলদস্যু বাহিনী। মুক্তিপণের অর্থ পরিশোধের পরই তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। মুক্তি পাওয়ার পর তারা রবিবার কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে পৌঁছেছেন। সূত্র: বিবিসি।

/এএ/