কিম জং নাম হত্যা ‘উত্তর কোরিয়ার’ কাজ: দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার

কিম জং নামদক্ষিণ কোরিয়া দাবি করছে, কিম জং নামের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে উত্তর কোরিয়াই জড়িত।  উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনের সৎভাই কিম জং নামকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে গত সপ্তাহে হত্যা করা হয়। উত্তর কোরিয়ার দু'জন নারী এজেন্ট বিষ প্রয়োগ করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে এর পর সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছিল।

ম্যাকাওগামী একটি বিমানে ওঠার জন্য যখন কিম জং নাম অপেক্ষা করছিলেন, তখন তার মুখে বিষ ছিটিয়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ মনে করছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার একজন মুখপাত্র বলেন, ‘সন্দেহভাজনদের পাঁচজনই উত্তর কোরিয়ান, তাই আমরা সন্দেহ করছি যে উত্তর কোরিয়ার শাসকচক্রই এর পেছনে ছিল।’

অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার এ দাবির স্বপক্ষে এখনও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া পিয়ংইয়ং থেকে এখনও এ নিয়ে কোন মন্তব্যও করা হয়নি।

মালয়েশিয়ার পুলিশের উপপ্রধান নূর রশিদ ইসমাইল রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সাধারণ উত্তর কোরিয়ান পাসপোর্টধারী কয়েকজন উত্তর কোরিয়ান এর মধ্যে মালয়েশিয়া ত্যাগ করেছে।’

মালয়েশিয়ার পুলিশ ইতোমধ্যে একজন উত্তর কোরিয়ানকে আটক করেছে এবং তারা বলছে আরও চার জনকে খোঁজা হচ্ছে। এ ছাড়া আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে,  যার মধ্যে একজন ইন্দোনেশিয়ান নারী, একজন মালয়েশিয়ান পুরুষ, ও আরেকজন ভিয়েতনামী পাসপোর্টধারী নারী রয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়ায় ঘটনার পর সিসিটিভি থেকে পাওয়া মহিলার ছবি প্রকাশিত হয়। তার টি শার্টের ওপর 'এলওএল' লেখা।

উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত নেতা কিম ইল সুং তার বড় ছেলে এই কিম জং নামকে পাশ কাটিয়ে পরবর্তী নেতা মনোনীত করেছিলেন ছোট ছেলে কিম জং আনকে। এর পর থেকে কিম জং নাম পরিবার থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন ছিলেন এবং ম্যাকাও, চীন ও সিঙ্গাপুরে থাকতেন।  তিনি এর পর উত্তর কোরিয়ায় তার পরিবারের একক শাসন এবং ছোট ভাইয়ের নেতৃত্বের যোগ্যতার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন, তবে তিনি নিজে নেতা হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

/এএ/