রবিবার সকালে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর পরই দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকেন। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমরা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি করছি। কিন্তু আলোচনা তখনই সম্ভব যখন উত্তর কোরিয়া নিজেদের আচরণ পরিবর্তন করে সংলাপে আগ্রহী বলে প্রমাণ করতে পারবে।
চীনে চলমান আন্তর্জাতিক একটি সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধিরা উত্তর কোরীয় প্রতিনিধিদের কাছে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাবতে পারছেন না এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় রাশিয়া খুশি হয়েছে। কারণ রাশিয়ার ভূখণ্ডের কাছেই তা বিস্ফোরিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে।
রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ভ্লাদিমির পুতিন উদ্বিগ্ন।
উত্তর কোরিয়ার মিত্র চীন সব পক্ষ-কে ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বরাত দিয়ে রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কুসং থেকে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ৭০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপান সাগরে পতিত হয়।
চলতি বছর বেশ কয়েকটি মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এতে করে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও তোপের মুখে পড়েছে দেশটি। তারপরও নিজেদের পরীক্ষা থামায়নি তারা। গত মাসে তাদের দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ব্যর্থ হয়। ধারণা করা হয় তাদের কাছে দুটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। সূত্র: বিবিসি।
/এএ/