মার্কিন কর্মকর্তাদের গাজা উপত্যকার রাফাহতে অভিযানের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়েছে ইসরায়েল। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটিতে সম্ভাব্য অভিযানের আগে সেখানকার বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের কীভাবে সরিয়ে নেওয়া সেটির বিস্তারিত যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে। আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
প্রকাশ্যে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করার এখতিয়ার না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার বিস্তারিত জানানোর পরও মার্কিন প্রশাসনের অবস্থানের বদল হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে রাফাহতে ইসরায়েলি অভিযানে নির্দোষ বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ঝুঁকিতে ফেলবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সতর্ক বার্তার পরও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অঙ্গীকার করেছেন রাফাহতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। বাইডেনের পাশাপাশি আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশের কর্মকর্তারাও বলে আসছেন, এমন অভিযানে আরও বেসামরিকের প্রাণহানি ও ইতোমধ্যে সংকটে থাকা মানবিক পরিস্থিতি আরও বড় আকার ধারণ করবে।
বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, বেসামরিকদের রক্ষায় গ্রহণযোগ্য পরিকল্পনা ছাড়া রাফাহতে সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হলে এর পরিণতি ইসরায়েলের জন্য ভালো হবে না।
শুক্রবার শেষ রাতের দিকে এক অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এমন পরিকল্পনার অনুপস্থিত থাকলে রাফাহতে আমরা সামরিক অভিযানকে সমর্থন করব না। কারণ এর ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হবে তা গ্রহণযোগ্যতা ঊর্ধ্বে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর রাফাহতে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, হামাসের বাকি চারটি ব্যাটালিয়ন রাফাহ শহরে রয়েছে। হামাসকে নির্মূলে শহরটিতে সামরিক অভিযান চালানো হবে।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস। ইসরায়েলের তথ্য মতে, ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। এসময় মোট ২৫৩ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান সশস্ত্র যোদ্ধারা। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওইদিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েল করা বিমান ও স্থল হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন