ধর্ষণ নিয়ে ‘রসিকতা’ করে ফের তোপের মুখে দুয়ার্তে

রদ্রিগো দুয়ার্তে‘বন্দুকভক্ত’ বলে পরিচিত ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন। সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে নারীদের ধর্ষণ নিয়ে রসিকতা করার পর শুরু হয়েছে এ সমালোচনা। রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক আইন জারির পর সেনা ক্যাম্পে দেওয়া একটি ভাষণে দুয়ার্তে রসিকতা করে বলেছেন, কোনও সেনা যদি তিনজন নারীকে ধর্ষণ করেন তাহলে দায়-দায়িত্ব তিনি নেবেন। সেনাদের কোনও বিচারে মুখোমুখি হতে হবে না।

ভাষণে দুয়ার্তে বলেন, আপনি যদি তিনজন নারীকে ধর্ষণ করেন তাহলে আপনার হয়ে আমি কারাবরণ করব। আমি বলব, আমি করেছি। কিন্তু আপনি যদি চারজনকে বা পতিতার ছেলেকে বিয়ে করেন আমি আপনাকে পেটাব।

ধর্ষণ নিয়ে দুয়ার্তের এটা দ্বিতীয়বার রসিকতা। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন তিনি।

দুয়ার্তের এমন রসিকতার পর মানবাধিকার কর্মীরা সমালোচনা করছেন। একটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে দুয়ার্তের এমন রসিকতাকে অসুস্থ মানসিকতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মেয়ে চেলসি ক্লিনটন টুইটে বলেছেন, ধর্ষণ কখনোই রসিকতার বিষয় না। তিনি লিখেছেন, দুয়ার্তে একজন খুনি যার কোনও মানবাধিকারের বালাই নেই।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ফেলিম কাইন বলেছেন, দুয়ার্তের এমন অসুস্থ রসিকতা মার্শাল কার্যকর করার সময় সেনাদের অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আসকারা দেবে।

দেশটির নারীদের রাজনৈতিক দল গ্যাব্রিয়েলা এক বিবৃতিতে বলেছে, ধর্ষণ রসিকতা নয়। মার্শাল ল এবং নারী ও শিশুদের নিপীড়নও কখনও রসিকতা হতে পারে না।

মুসলিম বিচ্ছন্নতাবাদী ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ কবলিত এলাকা মিন্দানাওতে গত সপ্তাহে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে।

গত বছর দুয়ার্তে ১৯৮৯ সালের একটি ধর্ষণ ও অস্ট্রেলিয়ান মিশনারীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে রসিকতা করেছিলেন। ওই সময় শহরটির মেয়র ছিলেন দুয়ার্তে। তিনি বলেছিলেন, ধর্ষধদের প্রথম সারিতে তার থাকা উচিত ছিল।

শনিবার দুয়ার্তের মুখপাত্র আর্নেস্টো আবেলা জানিয়েছেন, দুয়ার্তে সেনাদের বাহাদুরির প্রতি পূর্ণ সমর্থণের কথা জানাতেই নারী ও পুরুষ সেনাদের রসিকতা করে এটা বলেছেন। সূত্র: বিবিসি।

/এএ/