কেড়ে নেওয়া হচ্ছে সু চির বিভিন্ন ব্রিটিশ সম্মাননা


মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের বিরুদ্ধে যথাযথ ভূমিকা না নেওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী ক্রমাগত গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলছেন   মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি। ব্রিটিশ সরকার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের পর সে দেশের বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান সু চি’কে দেওয়া সম্মাননা কেড়ে নিচ্ছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।
অং সান সু চি
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মিয়ানমারে সামরিক জান্তাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনের সময় সু চিকে সদস্যপদ দেয় ব্রিটেনের স্বনামধন্য ট্রেড ইউনিয়ন ইউনিসন। সেই সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। ইউনিসন সভাপতি মার্গারেট ম্যাককি বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা যে পরিস্থিতিতে তা অবর্ণনীয়। সু চির সম্মাননামূলক সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। আমরা আশাকরি এতে তার ওপর চাপ সৃষ্টি হবে।
সরকারবিরোধী থাকা অবস্থায় সু চি কে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করেছিল যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের নিধনযজ্ঞের কারণে কর্তৃপক্ষ ডিগ্রিটি পুনর্বিবেচনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন। ১৯৯৮ সালে আমরা সু চিকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছিলাম। তখন তিনি মিয়ানমারের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছিলেন।  এখন পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়ায় ডিগ্রিটি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।’
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স স্টুডেন্ট ইউনিয়ন জানিয়েছে, তাদের সংগঠনে সু চিকে সম্মানসূচক যে সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হবে।সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাহাতির পাশা বলেন, ‘গণহত্যা পরিস্থিতিতে সু চির অবস্থানের কারণে আমরা সু চির সভাপতির পদ প্রত্যাহার করব।’
১৯৯৭ সালে সু চিকে সম্মাননা দিয়েছিল অক্সফোর্ড কাউন্সিল। কাউন্সিলররা ঘোষণা দিয়েছেন, তারাও সু চিকে দেওয়া  খেতাব প্রত্যাহারের বিষয়টি পরবর্তী কাউন্সিল বৈঠকে আলোচনা করবেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।