রোহিঙ্গাদের উল্লেখ না করেই বাস্তুচ্যুতদের ফেরার আহ্বান মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হিলাইং রাখাইনে অভ্যন্তরীণভাবে উদ্বাস্তু হওয়া মানুষদের বাড়িতে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সেনাবাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের নৃশংসতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৪ লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কোনও কথা বলেননি। বৃহস্পতিবার সহিংসতা কবলিত রাখাইন পরিদর্শনের সময় দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

000_N09AF-690x450

সহিংসতা শুরু হওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো রাখাইন আসেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান। বৃহস্পতিবার দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সমন্বিত হামলার পর সেনাবাহিনী পরিস্থিতি যতোটা সম্ভব ভালোভাবে মোকাবিলা করছে।

সেনাবাহিনীর সদস্য, কর্মকর্তা ও কয়েকজন উদ্বাস্তুদের উপস্থিতিতে দেওয়া ভাষণে মিয়ানমারের সেনা প্রধান রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনের বিষয়ে কোনও কথা বলেননি। তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় গোত্রের লোকদের পুনর্বাসনের জন্য প্রথমে তাদেরকে নিজ গ্রামে ফিরে আসতে হবে।

জাতীয় গোত্র বলে মিয়ানমার আনুষ্ঠানিকভাবে যেসব জাতিসত্ত্বাকে স্বীকৃতি দেয় সেসব জাতির উদ্বাস্তু লোকদের ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। রোহিঙ্গা মিয়ানমারের স্বীকৃতি কোনও জাতিগোষ্ঠী নয়। বরং তাদের অবৈধ বাঙালি অভিবাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে মিয়ানমার।

সিনিয়র জেনারেল বলেন, গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের মানুষদের নিজেদের এলাকায় পাওয়া। নিজেদের ভূখণ্ড আমাদের জাতীয় জাতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া প্রয়োজন। কোনও মানুষ যদি আমাদের জাতীয় গোত্রের না হয় তাহলে তাদের জন্য আমরা কিছু করতে পারব না। এই ভূমিতে তাদেরই (জাতীয় গোত্র) অধিকার রয়েছে।

ভাষণে তিনি রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের মুসলিম গ্রামগুলো  থেকে পালিয়ে যাওয়া মানুষদের বিষয়েও কিছু উল্লেখ করেননি। এসব গ্রামের প্রায় অর্ধেক জ্বালিয়ে ছারখার করে দেওয়া হয়েছে এবং পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও সেনাপ্রধান কিছু উল্লেখ করেননি।