চীনের সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাইওয়ানের হুঁশিয়ারি

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন শুক্রবার বলেছেন, চীনের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা দিন দিন বাড়ছে এবং উভয় দেশের মধ্যকার বিরোধ সামরিক শক্তি ব্যবহার করে মীমাংসা করা উচিত হবে না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

২০১৬ সালের শুরুতে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সাই চীনের শত্রুতার মুখোমুখি হয়েছেন। তাইওয়ানকে ঘিরে এ সময় একাধিক সামরিক মহড়া আয়োজন করে চীন। বেইজিংয়ের আশঙ্কা স্বাধীনতাপন্থী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা সাই চীনের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারেন। তাইওয়ানকে চীন নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে।

সাই সাংবাদিকদের বলেন, চীনের সামরিক কর্মকাণ্ড শুধু যে তাইওয়ান প্রণালীকে প্রভাবিত করছে তা নয়, পুরো পূর্ব এশিয়াতেই এর প্রভাব পড়ছে। এটা তাইওয়ানের একা মোকাবিলার কোনও সমস্যা না।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বলেন, এই অঞ্চলের যেসব দেশ শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় তাদের এ জন্য ভুগতে হবে। চীনের পক্ষেও তা অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। কারণ সংকট সামরিক শক্তি দিয়ে সমাধান করা যাবে না। তা করতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে।

চীনের সামরিক আগ্রাসনের জবাবে তাইওয়ান চুপ থাকবে না জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, গত কয়েক বছরে আমাদের সেনাবাহিনীর নৈতিক শক্তির ধারাবাহিকভাবে উন্নতি  ঘটছে। আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থনও ক্রমবর্ধমান। আমি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই সবচেয়ে গর্বের বিষয়। আগামীতে আমাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বাস্তবসম্মতভাবে বাড়বে।