জয়নাব হত্যায় তিন সন্দেহভাজন গ্রেফতার, মূল হোতা পলাতক

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের কাসুরে শিশু জয়নাব ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় শনিবার তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের মূল সন্দেহভাজন এখনও পলাতক রয়েছে। পুলিশের মতে, মূল হোতা একা এই কাজ করেনি। তার সঙ্গে কমপক্ষে দুই সহযোগী ছিল। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ খবর জানিয়েছে।

_99571202_5eebe830-1949-4595-961a-207bc022dee7

গত ৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) কোরআন ক্লাসে শেষে বাসায় ফেরার পথে পাঞ্জাবের কাসুর শহর থেকে ছয় বছরের শিশু জয়নাবকে অপহরণ করা হয়। ওই সময় বাবা-মা ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে থাকায় খালার কাছে ছিল সে।  পরে ৯ জানুয়ারি এক পুলিশ সদস্য শাহবাজ খান রোডে আবর্জনার স্তূপ থেকে জয়নাবের মরদেহ উদ্ধার করেন। ময়না তদন্তে দেখা গেছে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে তাকে। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে পাকিস্তান। বিক্ষোভ হয় করাচি, কাসুর, আর লাহোরে। বৃহস্পতিবার কাসুর শহরে বিক্ষোভকারীরা পুলিশ প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে নিহত হয় দু'জন। শুক্রবার দেশটির সংসদেও এই ইস্যুতে আলোচনা হয়।

শনিবার পুলিশ জয়নাবকে নিয়ে হেঁটে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে। সিসিটিভির ব্যক্তিকে পুলিশ পারসন অব ইন্টারেস্ট চিহ্নিত করেছে।

পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও জয়নাবকে নিয়ে হেঁটে যাওয়া মূল সন্দেহভাজন এখনও পলাতক রয়েছে। মূল সন্দেহভাজন গ্রেফতার হলে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সংবাদমাধ্যমে ব্রিফিং করবেন।

সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে পাঞ্জাব পুলিশ দাবি করে, ওই ফুটেজে থাকা দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকেই জয়নাব হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন বিবেচনা করছে তারা। ওই দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

এর আগে ময়না তদন্তের ভিত্তিতে পাঞ্জাব কর্তৃপক্ষ জয়নাবের সন্দেহভাজন খুনিকে একজন ‘সিরিয়াল কিলার’ হিসেবে শনাক্ত করে। তাদের দাবি, জয়নাবকে ধর্ষণের পর হত্যার মতো এক বছরে সংঘটিত ১০টি ঘটনার মধ্যে ৮টির হোতা সে। পুলিশি অবহেলার অভিযোগ করে দোষীদের বিচারের দাবিতে এখন গোটা পাকিস্তান সোচ্চার। এমন অবস্থায় অচিরেই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।