ভৌগোলিক কারণেও ঝুঁকিপূর্ণ ত্রিভুবন বিমানবন্দর

নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দর তার ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে ছোট এলাকায় বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণে বিমানচালকদের বেগ পেতে হয়। বিবিসির সঙ্গে কথা এ বিষয়ে কথা বলেছেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডোর ইকবাল হোসেন। তাছাড়া এবিসি নিউজের কাছে ত্রিভুবন বিমানবন্দরের প্রতিকূল ভৌগোলিক অবস্থানের কথা স্বীকার করেছেন নেপাল টেলিভিশনের একজন জ্যেষ্ঠ সংবাদকর্মী।

 

tri

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ভৌগোলিক অবস্থা বর্ণনা করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেছেন, রানওয়ের এক প্রান্তে রয়েছে পাহাড়। ফলে অবতরণের সময় প্রত্যেক বিমানকে খুব সতর্ক হয়ে পাহাড় এড়িয়ে বিমানবন্দরের কাছে পৌঁছাতে হয়। আর তারপরে খুব অল্প সময়ের ভেতর অনেকটা নিচে নেমে আসতে হয় রানওয়েতে পৌঁছাতে। বিমানচালকদের জন্য তা অনেকটাই কষ্টসাধ্য। আবার রানওয়ের বাম দিকে কিছুটা সমতল ভূমি থাকলেও ডান দিকে গভীর খাঁদ। ফলে বিমান যদি পিছলে যায়, তাহলে তা ওই খাদে পড়ে যাওয়ার বড় সম্ভাবনা থাকে।

দুর্ঘটনার পরে, অস্ট্রেলিয়ার এবিসিকে নেপাল টেলিভিশনের একজন জ্যেষ্ঠ সংবাদকর্মী দেবেন্দ্র সুবেদী বলেছিলেন, একে তো বিমানবন্দরটির ভৌগোলিক অবস্থান ও ভূমিরূপ বিমান অবতরণের জন্য প্রতিকূল। তার ওপর ইউএস-বাংলা খুব বেশি দিন ধরে নেপালে আসা যাওয়া করছে না। উল্লেখ্য, কোন দিক থেকে অবতরণ করা হচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে একটি মাত্র রানওয়েকেই কখনও ‘রানওয়ে ০২’ আর কখনও ‘রানওয়ে ২০’ নামে ডাকা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ত্রিভুবন বিমানবন্দরের একটি সূত্র বলেছে, উড্ডয়ন নিয়ন্ত্রণকারীদের রেকর্ড করা কথোপকথন থেকে বিমানচালক ও নিয়ন্ত্রণকারীদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হওয়ার কথা জানা গেছে। ‘ব্ল্যাকবক্স’ পাওয়া যাওয়ায় এখন যা কিছু ঘটেছিল তার সবকিছুই বিস্তারিত জানা যাবে।