ইন্দোনেশিয়ায় আবারও জঙ্গি হামলা, এবার টার্গেট পুলিশ

ইন্দোনেশিয়ায় আবার জঙ্গি হামলা হয়েছে। গির্জার পরে এবারের লক্ষ্যবস্তু সুরাবায়ায় অবস্থিত পুলিশ সদর দফতর। সোমবারে ঘটা ওই হামলায় নিহত হয়েছেন ১ জন, আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ৪ জন পুলিশ সদস্য। রবিবার গির্জায় আত্মঘাতী হামলার ঘটনায় অন্তত ১৩ জন নিহত হওয়ার পর সোমবারে ঘটা ওই হামলায়ও আত্মঘাতী হামলাকারীরা অংশ নিয়েছে। নিরাপত্তা ক্যামেরায় দেখা গেছে, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে দুইজন আরোহী ছিল। এদের একজন নারী। একটি তল্লাশি চৌকির কাছে পৌঁছে মোটরসাইকেল আরোহীরা তাদের কাছে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা পুলিশের মুখপাত্র বারুং মাঙ্গেরা যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটেছে সকাল পৌনে ৯ টার দিকে।indonesia_cbd286a6-5734-11e8-b87b-3dd7d8bd63e9

সোমবারে পুলিশ দশর দফতরে হামলার আগে, রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব জাভার একটি ভবনে আরেকটি বিস্ফোরণ হওয়ার খবর আয়া গিয়েছিল। সিদরাজোর ওনোকোলো অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের পঞ্চম তলা থেকে পর পর কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। একই পরিবারের বাবা-মা ও একটি শিশু ওই ঘটনায় নিহত হয়েছে। পরিবারটির বেঁচে যাওয়া এক ছেলে ও এক মেয়েকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, তারা ভুক্তভোগী নয়, বরং বাবা-মায়ের সঙ্গে মিলে তারাও বিস্ফোরণ ঘটানোর কাজে জড়িত ছিল। অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে পুলিশ সদর দফতরের হওয়া হামলার যোগসূত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সোমবারের হামলার আগের দিন ইন্দোনেশিয়ার একটি পরিবারের সদস্যরা মিলে তিনটি গির্জায় হামলা চালায়। একটি হামলা পুলিশ ঠেকিয়ে দিতে পারলেও দুই গির্জায় হওয়া বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ প্রধান তিতো কারনাভিয়ান বলেছেন, পরিবারটি ইন্দোনেশিয়ায় আইএসের সহযোগী সংগঠন জামিয়াহ আনসারুত দাওলাহর (জেএডি) সদস্য ছিল। সিরিয়ায় অবস্থানকালে সন্ত্রাসী গোষ্ঠিটির সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়েছিল।