ইরানকে চীনের আমন্ত্রণ, হাসান রুহানির সফর আগামী মাসে

সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি আঞ্চলিক সম্মেলনের অতিথি হিসেবে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন। আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য ওই সম্মেলনে রুহানিকে আমন্ত্রণ জানানোর মূল উদ্দেশ্য ইরানের সঙ্গে চীনের চলামান যৌথ প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা। বার্তাসংস্থা রয়টার্স লিখেছে, ইরানের সঙ্গে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ায় পর  চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্যান্য দেশগুলো যার যার জায়গা থেকে চুক্তিটিকে রক্ষার চেষ্টা করছে। চীন ওই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর একটি।s3.reutersmedia.net

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাসান রুহানি রাশিয়া ও চীনের যৌথ নেতৃত্বে থাকা ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের’  সম্মেলনে যোগ দেবেন। রুহানির সফরের নির্দিষ্ট তারিখ জানা না গেলেও রয়টার্স লিখেছে, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে কিংদাও শহরে সম্মেলনটির অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ইরান বর্তমানে ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের’ পর্যবেক্ষক সদস্য।

চীনের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঝ্যাং হ্যানহুই সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা আশা করি চীন ও ইরান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের পর চুক্তিগুলো চূড়ান্ত করবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে নেবে। বড় ধরণের অস্থিরতা এড়াবার জন্য আমাদের দুই দেশেরই উচিত যৌথভাবে কাজ করা।’

ইরান অনেক দিন ধরেই ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের’ পূর্ণ সদস্য হতে চাচ্ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকায় তা সম্ভব হয়নি। আগে রাশিয়া মন্তব্য করেছিল, যেহেতু পরমাণু চুক্তি হওয়ার পরে ইরানের ওপর আর নিষেধাজ্ঞা নেই, সেহেতু দেশটিকে সংস্থার পূর্ণ সদস্য করে নেওয়া যেতে পারে।  সংস্থাটিতে রয়েছে রাশিয়া, চীন, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নেরভুক্ত চারটি প্রজাতন্ত্র , ভারত ও পাকিস্তান।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপীয় দেশগুলো চুক্তিটি রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রত্যাশা, যথেষ্ট অর্থনৈতিক সুবিধা পেলে ইরান পারমাণবিক চুক্তিটির শর্ত মেনে চলবে।