ট্রাম্প-কিম চুক্তি বাস্তবায়নে উত্তর কোরীয় সংবাদমাধ্যমের আশাবাদ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর আন্তরিক বাস্তবায়নের বিষয়ে আশাবাদী উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো। ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের সময় উত্তর কোরিয়ার হাতে নিহত মার্কিন সেনাদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় পত্রিকাগুলোতে এমন ভাবনাই উঠে এসেছে। তাদের ভাষ্য, বিশ্ব শান্তি ও কোরীয় উপদ্বীপের সমৃদ্ধি নিশ্চিতের জন্য জন্য ট্রাম্প-কিম চুক্তি বাস্তবায়ন অপরিহার্য। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তাসংস্থা ইয়ানহপ নিউজ এজেন্সি উল্লেখ করেছে, উত্তর কোরিয়ার এমন ভূমিকা নিশ্চিতের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে অনির্দিষ্টকালের জন্য যৌথ সামরিক মহড়া স্থগিত রাখার ঘোষণা দিতে হয়েছে। কিমের সঙ্গে সম্মেলন শেষে ট্রাম্প ওই মহড়াকে ‘উস্কানিমূলক, ব্যয়বহুল ও অযথার্থ’ আখ্যা দিয়েছিলেন।afp_12808z-e1520856775752

গত ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে হওয়া সমঝোতা চুক্তির অংশ হিসেবে দেশটি নিহত মার্কিন সেনাদের দেহাবশেষ ফেরত দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই সমঝোতার আওতায় নতুন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং কোরীয় উপদ্বীপে স্থায়ী ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে উত্তর কোরীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। শনিবার মার্কিন সামরিক বাহিনী দুই কোরীয় সীমান্তে ১০০টি অস্থায়ী কাঠের বাক্স এনেছে সেনাদের দেহাবশেষ নিয়ে যেতে। অন্যদিকে আরও ১৫৮টি ধাতব কফিন গিয়নগি প্রদেশের ওসান বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যেতে দেখা গেছে তারা।

উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম উরিমিনজোক্কিরি লিখেছে, ‘বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এটা আমাদের দৃঢ় ও অপরিবর্তনীয় অবস্থান। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী দীর্ঘ কয়েক যুগের উত্তেজনা ও শত্রুতার সমাপ্তি টানতে এবং উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতামূলক সম্পর্কের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনে আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের দ্বায়িত্ব পালন করে যাব।’

আরেকটি উত্তর কোরীয় সংবাদমাধ্যম ডিপিআরকে টুডে একই রকম আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। দেশটির একজন সমাজবিজ্ঞানীর নামে প্রকাশিত নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশ দুটির জনগণের যৌথ স্বার্থ, নিরাপত্তা, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত হবে।

ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি পরবর্তী সময়ে এই দেহাবশেষ হস্তান্তর কার্যক্রমকে শুভ লক্ষণ হিসেবে দেখছে ইয়ানহপ। তারা এ কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, সম্পাদিত চুক্তিতে কোরীয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণভাবে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার ওয়াদা করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।