জাপানের বন্যায় নিহত অন্তত ১৭৬, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে প্রধানমন্ত্রী

জাপানে বন্যার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। তিনি একটি দুর্যোগকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আজ দেখা করেছেন ভুক্তভোগীদের সঙ্গে। জাপানে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ওই বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৭৬ জন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ১০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে এনে রাখতে হয়েছে। হাজার হাজার উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে ভুক্তভোগীদের বের করে আনার চেষ্টা করছেন।shinzo-abe

রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ায় জাপানে প্রবল বন্যা ও ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটে। শিকোকো দ্বীপের মটোয়ামা শহরে শুক্র ও শনিবার সকালে ৫৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। অতি বৃষ্টিতে নদীর পানি বেড়ে যায় এবং বন্যা দেখা দেয়। আক্রান্ত এলাকাগুলোতে সব ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বেশিরভাগ মানুষ নিহত হয়েছেন হিরোশিমা এবং তার আশেপাশের এলাকাগুলোতে। জাপানের চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা জানিয়েছেন, উদ্ধার তৎপরতার চালানোর জন্য জাপান সরকার ৭৫ হাজার সেনা ও উদ্ধারকর্মী মাঠে নামিয়েছে। প্রায় ৮০টি হেলিকপ্টার যুক্ত করা হয়েছে উদ্ধার অভিযানে।

বন্যার ঘটনায় অ্যাবে তার পূর্ব নির্ধারিত সফরের কর্মসূচি বাতিল করেছেন। তার মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার কথা ছিল। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, দুর্যোগকবলিত কুরাশিকি অঞ্চল পরিদর্শনে গেছেন শিনজো অ্যাবে। শুধুমাত্র কুরাশিকিতেই বন্যার আঘাতে ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ১৭৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট, যেখানে গার্ডিয়ান ১৭৯ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের কারণে ত্রাণসামগ্রী প্রত্যাশিত গতিতে পৌঁছানো যাচ্ছে না। ঘরবাড়ি বিনষ্টের ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনি অভাব তৈরি হয়েছে সুপেয় পানির। তার ওপর বাড়ছে তাপমাত্রা। ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠায় তাপদাহের আশঙ্কা বাড়ছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বন্যা ও ভূমিধসে দুই লাখ ৫৫ হাজার ঘরবাড়ির পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।